বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه له স্থূল বলিয়াই ভোগ করিবার যোগ্য। জাগ্রৎকালে বিশ্বপুরুষ ভোগ্য স্থূল বিষয়কে সাক্ষাৎ অনুভব করিয়া স্থিত হয়েন । প্রশ্ন। চৈতন্য আত্মাতে জাগ্রৎ অবস্থার কল্পনা বুঝিলাম এখন বলুন চৈতন্য আত্মাতে স্বপ্নাবস্থার আরোপ কিরূপে হয় ? উত্তর । জাগ্রতের হেতু যে সমস্ত কৰ্ম্ম সেই সমস্ত কৰ্ম্মের ক্ষয় হইলে পর স্বপ্নের হেতু যে সমস্ত কৰ্ম্ম তাহার উদ্ভূত হয়। উন্থঃ হইলে জাগ্রৎকালের স্থল, বিষয় হইতে ভিন্ন, সূক্ষ বিষয় সকল অনুভূত হয়। ঐ সময়ে বাহ ইন্দ্রিয় সকল আপন আপন বিষয় হইতে নিবৃত্ত হয়। তখন অবিদ্যা কাম ও কৰ্ম্ম ইহাদের প্রেরণা প্রাপ্ত হইয়া বুদ্ধি আপনার প্রকাশরুপ প্রভাবে অন্তঃকরণের বাসনা সমূহ উৎপন্ন হইতে দেখেন। স্বপ্নকালে সূৰ্য্যাদির প্রকাশ অনুভূত না হইলেও ঐরূপ একটা সংস্কার বুদ্ধি দ্বারা কল্পিত হয়। সূৰ্য্যাদির প্রকাশ নাই তথাপি বাসন সমূহ দেখা যায় কিরূপে ? ইহার উত্তরে বলা হয় আত্মা স্বয়ং জ্যোতিঃ । এই জ্যোতিঃ দ্বারা প্রকাশিত—আপঞ্চীকৃত তন্মাত্রারূপ পঞ্চমহাভূত এবং তাহদের কার্য্যরূপ সূক্ষ প্রপঞ্চময় হিরণ্যগৰ্ভ শরীর। হিরণ্যগর্ভের শরীর হইতেছে এই বাসনাময় স্বপ্লাবস্থা। এই স্বপ্নাবস্থাতে “আমি আমার” রূপ অভিমান যে চৈতন্য আত্মা করেন তিনিই হইতেছেন তৈজস নামক জীব। বিশ্বপুরুষ, পঞ্চাকৃত পঞ্চমহাভূত ও তাহদের কার্য্যরূপ স্থল প্রপঞ্চময় যে শবরাটের শরীর তাহাতে অভিমান করেন ; আবার তৈজস পুরুষ অপৰ্কীকৃত তন্মাত্রারূপ পঞ্চভূত এবং তাহদের কার্য্যকুপ সূক্ষ প্রপঞ্চময় যে হিরণ্যগর্ভের শরীর তাহাতে অভিযান করেন। প্রশ্ন। আত্মার স্থূল বিষয় ভোগ এবং সূক্ষ বিষয় ভোগের কথা বুঝিলাম এখন আত্মাতে স্বযুপ্তি অবস্থার কল্পনা কিরূপ তাহাই বলুন। উত্তর। যে কোন রূপ ভোগ হউক না কেন –স্থল ভোগই বল আর সূক্ষ ভোগই বল তাহাতে শ্রম আছেই। জাগ্রং ও স্বপ্নে পুরুষের যে শ্রম উৎপন্ন হয় সেই শ্রমকে পরিত্যাগ করিবার ইচ্ছা হইলে আত্মা