@。 দাংকোপনিষদ। তিনিও ইহ। ঐ সমাধি অবস্থায় অনুভব করিতে পারেন না। কিন্তু নিনি নির্বিবকল্প সমাধি আয়ত্ত করিয়াছেন, তিনি সর্বদ। আপনি আপনি ভাবে থাকিয়াও স্বপ্ন, জাগর, স্যুপ্তি লইয়া খেলা করিতে পারেন । এই সমস্ত মনুষ্য-বুদ্ধিতে বিরুদ্ধ অনুভূতি ; ইহা ব্যপ্পিচেতন-মানুযে সম্ভব নহে ; কিন্তু সমষ্টিচৈতন্যরূপ অবতারগণের ইহা আয়ত্ত্বাধীন। আমি যত সহজে পারি, তোমাকে ইহার ধারণা করাইয় দিতেছি মনোযোগ কর । মানুষের যে চৈতন্য সেটা দেহব্যাপী মাত্র। মানুষ নিজের দেহের মধ্যে আবদ্ধ থাকিয়াই নানাবিষয় অনুভব করে। চেতন যে সৰ্ব্বব্যাপী তাহ মানুষ সাধারণভাবে অনুভব করিতে পারে না । , কাজেই মানুষ অন্য কিছুর মধ্য হইতে নিজের দেহ দ অন্য কিছু অনুভব করিতেও পারে না। কিন্তু যিনি সরলব্যাপী, তিনি সমকালে সকল বস্তু অনুভব না করিবেন কেন ? মানুষ e/বদরানারায়ণে যখন থাকে তখন দারুণ শীত অনুভব করে, আবার সেই মানুষ শীতকালেও vপুরাধামে সমুদ্রতীরে গ্রীষ্ম অনুভব করে । কিন্তু যিনি ৬ বদরীনারায়ণ ও ৬পুরাধামে সমকালে ব্যাপিয়া আছেন, তিনি সমকালে এক অঙ্গেই শীত ও গ্রীষ্ম অনুভব না করিবেন কেন ? যিনি সর্বেলশ্বর—যদি বলা যায় তাহার অনুভব করিবার শক্তিও আছে, তবে তিনি সমকালে সুখ, দুঃখ, শীত, উষ্ণাদি অনুভব করিবেনই নিশ্চয় । এখন আত্মার সমকালে জাগ্রৎ, স্বপ্ন, স্থযুপ্তি অনুভবের কথা বুঝাইতেছি শ্রবণ কর । একটা দৃষ্টান্ত লও। মনে কর একটি বাড়াতে অনেকগুলি ঘর । একটি ঘর আলোকপূর্ণ। সেই গুপ্ত আলোকমণ্ডিত গৃহের ভিতরে প্রবেশ করিবার চারিটি দ্বার। সেই জ্যোতিমণ্ডিত গৃহের মধ্যে একটি সুন্দর জ্যোতিৰ্ম্ময় অষ্টদল পদ্ম ফুটিয়া রহিয়াছে। সেই পদ্মের মৃণাল কিন্তু গৃহের বাহিরে কোন জলরাশির মধ্যে প্রোথিত। তুমি কোন উপায়ে মৃণালতন্তুর মধ্যে প্রবেশ করিয় ঐ গৃহে প্রবেশ করিয়াছ। তুমি পদ্মটির সম্মুখে দাড়াইয়াছ। উপরে সীমাশূন্য আকাশের গায়ে দেখিতেছ আর একটি দ্বাদশদল পদ্ম, ছত্রের মত সেই অষ্টদল_পদ্মকে