বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মায়া-পুরী - রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २e ] এইরূপে এই আক্রমণ হইতে রক্ষণ পাইতে হইবে । গ্রামে প্লেগ প্রবেশের পূর্বে ইদুর মারিতে হইবে, মানুষের সহজসংস্কার তাহা বলে না ; মানুষ ইহা ঠেকিয়া শিথিয়াছে। অতীতের অভিজ্ঞতা-ফলে এইরূপে আমি ভবিষ্যতের জন্ত প্রস্তুত হই । বাহা জগতের আক্রমণ নানা দিক হইতে নানা মূৰ্ত্তিতে আসিয়া আমাদিগকে নানারূপে ঘা দিতেছে ও ঠকাইতেছে । ক্রমশঃ আমরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিতেছি ; ভবিষ্যতের আক্রমণ যাহাতে বিপন্ন করিতে না পারে, তজ্জন্ত প্রস্তুত হইতেছি । কি করিলে কি হয়, অতীতের অভিজ্ঞতা আমাদিগকে বলিয়া দিতেছে । আমরা সেই ধারণা সঞ্চয় করিতেছি ও অবিশু কমত প্রয়োগ করিতেছি । কোন বস্তুর সহিত কোন বস্তুর কিরূপ সম্পর্ক, কোনটা হিতকর, কোনটা অঙ্কিতকর, কোনটা আপাততঃ সুখদায়ক হইলে ও হেয় বা তঃখদায়ক হইলে ও উপাদেয়, তাহার সমাচার আমাদের মধ্যে আমার মুদ্রিত করিয়া রাখিতেছি । সেই অভিজ্ঞতার ফলে আমরা গন্তব্য পথ নিরূপণ করিতেছি । সহজাত পাশবিক সংস্কারের বশে যন্ত্রবৎ নীয়মান না হইয়া আমরা স্বাধীনভাবে ইচ্ছাপূর্বক আমাদের জীবন-রক্ষার ব্যবস্থা করিতেছি । যে রূপ রস গন্ধ আসিয়া আমাদিগকে আঘাত দিতেছে, সেই রূপ রস গন্ধকে ই আমরা স্বকাৰ্য্য-সাধনে প্রেরণ করিতেছি । তাহাদিগকেই আমরা খাটাইয়া লইতেছি । তাহারা শক্রভাবে আসিলে ও তাহাদিগকে আমরা জীবন-রক্ষার অমুকুল করিয়া লইতেছি। ইহারই নাম বৈজ্ঞানিকতা । মনুষ্য এই জন্য বৈজ্ঞানিক জীব। ৰিশ্বজগতের মধ্যস্থলে আমি বসিয়া আছি এবং বিশ্বজগৎ সম্বন্ধে সহস্ৰ সমাচার আমার ইন্দ্রিয়-স্বারে প্রবেশ করিয়া আমার অভিজ্ঞতা বৰ্দ্ধিত করিতেছে । আমি