Σ δο Cer-sty may ter-r চাৰি খানি আছে; কোন খানি কোর তারই যখন ঠিক নাই তখন কি প্রকারে বলিব ? প্ৰথমে যজুৰ্বেদ ছিল ; যজুকে ভাঙ্গিয়া আর তিন খানি হইল, কিন্তু কে কোন খানি করিয়াছে ইহা ঠিক করা যায় না, কেননা বেদ নিত্য বলিয়া কথিত । দ্বৈপায়ন ব্যাস বেদকে পরের পর সাজাইয়া ঠিক করিয়া ঋকবেদ পৌলকে, ষজুৰ্বেদ বৈশম্পায়নকে, সামবেদ জৈমিনিকে, আর অথর্ববেদ সুমন্ত্রকে দিয়াছিল। চারিটি বেদঙ্গের নাম যথা,-হােতা, অধ্বর্য, উৎগাথা ও আথৰ্বন এবং ইহাদের শিষ্য, প্ৰশিষ্য, শাখা, প্ৰশাখা। এত বেশী হইল যে শেষকালে সব গোলমাল হইয়া গেল ; কিন্তু প্ৰত্যেকটীিতে জ্ঞানকাণ্ড ও কৰ্ম্মকাণ্ড ছিল । ৬/ ব্যাস সুতকে পুরাণ দিয়া ছিল। আজ কাল পুরাণের, জীমূতবাহনের দায়ভাগ ও রঘুনন্দনের স্মৃতির ব্যবহার আছে। যদি ইহাকে সামাজিক ধৰ্ম্মপুস্তক বল, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই। কিন্তু আপাতত চৌদ্দ আনা চলে না, তবে দায়ভাগ ঠিক আছে, কেননা সরকার বাহাদুর গ্রহণ করিয়াছেন, আর ইহার ব্যবস্থা আদালতে গ্রাহ্য হয় । এক্ষণে উপনিষদের ও গীতার ঢেউ বেশী, কিন্তু সাটিয়ে গিয়াছিল। আবার বেদান্তের ঢেউয়ে বোধ হয়। কিছু দিন গোড় পাতিবে । বেদান্তে যখন সামাজিকতা নাই, তখন ইহার মৰ্ম্ম নাই এবং যেটির মৰ্ম্ম নাই সেটি কখন সাধারণ লোকের ধৰ্ম্মপুস্তক হইতে পারে না ; তবে দর্শন হইতে পারে, পূর্বে ছিল, আপাতত আছে, আর ভবিষ্যতে থাকিবে। যদি দেশে নোেবল বৃটিন না থাকিত তাহা হইলে সমাজ বিপ্লবে মজা কত একবার টের পাইতে। নোেবল বৃটিন আমাদের ধন ও শরীর রক্ষা করিতেছেন। কথার ট্যাক্স ও খাজনা নাই, সেই হেতু যাহার যাহা মনে আইসে সে তাঁহাই বলে। দেখা পুত্র! যদি “মাগুর মাছের ঝোল, যুবতীর কোল, আর হরি হরি বোল” এই
