পাতা:মিত্র-রহস্য - রায় বিহারী মিত্র.pdf/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্বজ্যেষ্ঠের 5 || 电 BS অবিশ্বাস করিত না, ইহার কারণ জাগতিক বাহ ব্যবহারে সে অনেক বিশ্বাসঘাতকের নিকট ঠকিত। সে কাদ্বারও সহিত বৃথা তর্কবিতর্ক করিয়া অমূল্য সময়কে নষ্ট করিত না, সে জানিত মানবের অমূল্য ধন সময় এবং যে সময়কে রীতিমত ব্যবহার করিতে পারে সে সাধু পুরুষ। মানবের পক্ষে সময়কে সৎ ব্যবহারে কালাতিপাত করা সর্বতোভাবে বিধেয় । কাল অনন্ত হয়, তৎকারণ জীবও সঙ্গে সঙ্গে নিত্য হয়। দেহট চিরকাল একভাবে থাকে না, কারণ রূপান্তরই জগতের গতি হয়। প্ৰথমে রূপান্তরটি ঠিক হইলে নিত্যটি ঠিক হয়। প্ৰতিদিন চক্ষুষ ব্যবহারে বিষয়ের উৎপত্তি, স্থিতি ও প্ৰলয়টিকে দেখিতে পাওয়া যায় বলিয়া জন্ম, স্থিতি ও মৃত্যু স্বাভাবিক নিয়ম বলিয়। কথিত । সে পরম দয়ালু ছিল এবং পরের দুঃখে দুঃখা হইত ও পরের সুখে সুখী হইত। সকল নগরবাসীরা তাকে ঘৃণা করিত, কারণ সে যথা লিখিত, সে বাতাসে বাতাস দিত না, সে অন্যের কৰ্ণবিবরের বাদ্যের চৰ্ম্মতে তোষামোদ বাক্যে পুনঃ পুনঃ আঘাত করিত না, সে ধনীর বৈঠকখানার ঝার লণ্ঠন ছিল না এবং সে উপাৰ্জনক্ষম লোকের শনিবারের বাগানের এক পিয়ালা ধারী ছিল না ; বাস্তবিক সে নিজ কাৰ্য্যে অহোরাত্ৰ ব্যস্ত থাকিত । একদা সাংসারিক মহাপুরুষ নিজ কোটরে চিন্তাতে মগ্ন আছে, এমন সময়ে কেবলচাদ আসিয়া উপস্থিত হইল। কেবলচাদ সহরের প্রকৃত কেবলচাদ ছিল, কারণ কৈবল্য পদ তার আস্তাবলের বানর হয়। চন্দ্ৰ অমৃত্যরসকে বর্ষণ করিয়া পৃথিবীর উৎপাদন শক্তিটিকে বৰ্দ্ধন করে, কেবলচাদ অমৃতসুধা বিতরণ করিয়া সংসার বন্ধনকে উচ্ছেদ করে । সংসার বন্ধন উচ্ছেদের কথা বলিলে