ककिन कॉकि। rs সামাজিক ধৰ্ম্মের নিয়মগুলিকে ভাঙ্গিয়া অশান্তিটি জাগায়, কিন্তু যে দর্শনের দ্বারায় উক্ত বোধচষ্ণুর সমাজধৰ্ম্মকে উচ্ছেদ করে, সেই দার্শনিকেরাই অবতারদিগের শিষ্য হয়। ওহে ভ্ৰষ্ট যোগীবর! তুমি অবতারের শিষ্য হও এবং ধৰ্ম্মপুস্তকে যাহা কিছু আছে সেগুলিকে বিনা সন্দেহে বিশ্বাস কর, কারণ বিশ্বাস ব্যতীত শান্তি কুত্ৰাপি নাই। শ্লোকের অর্থ না জানিয়া অৰ্থ ব্যবসায়ী হইলে নিরর্থ হইতে হয়। দেখনা তুমি শ্লোকের অর্থনা জানিয়া অর্থ করিয়াছিলে বলিয়া শেষে শোক পাইলে, আর শ্লোকের “ল”টি উপিয়া গেল, কেননা লক্ষনীটি নিরর্থের নিকট থাকে না। লক্ষনীটি ধাৰ্ম্মিকের সহধৰ্ম্মিণী হয়, কোনকালে অধাৰ্ম্মিক কাপুরুষের সহধৰ্ম্মিণী হয় নাই, বা হইবে না, যদি ও গ্ৰহ গুণে হয় সেটি ক্ষণিক ইহা নিশ্চয় জানিবে । এককে কেহ পড়িয়া শুনিয়া বা তর্কের দ্বারা জানিতে পারে না, পুরুষকারের দ্বারায় জানিতে পারে না, অথবা তপ জপ মন্ত্র কিম্বা গুরুর দ্বারায় জানিতে পারে না, কেবল এক দয়া করিলে পারে। যোগী প্রশ্ন করিল, - তিনি কাহার উপর দয়া করেন ? মন্ত্রী উত্তর দিল, -যে ব্যক্তি অবতার বলিয়া কথিত হন। বাজে অবতার নয়, নাচঘরের বা যাত্রার সং নয়, যে অবতারের নামটিকে লইয়া শিষ্যেরা চলিয়া থাকে এবং যাহার মুখনিঃসৃত বাক্য ধৰ্ম্মপুস্তক হয়। ওহে ভ্ৰষ্ট যোগীবর! ধৰ্ম্ম ও সামাজিক ধৰ্ম্ম কি এখন জানিতে পারিলে ? যোগীর চক্ষু হইতে আনন্দাশ্রম ঝর ঝর করিয়া ঝরিতে লগিল । বােধচষ্ণু বলিল,-গুরুদেব ! আজি আমার জন্ম সাৰ্থক হইল, কারণ আমার প্রকৃত জ্ঞানোদয় হইল। ধৰ্ম্ম কাহাকে বলে, তাহ আমার শিক্ষা হইল এবং আপনার ফাঁসির হুকুমটি আমার গোলকধােম হইল। আপনি আশীৰ্বাদ করুণ যাহাতে আমার পরকালটি ভাল হয়।
