শাক সাজনা খাইয়া তবে দুই দিন যায়।
দেখিয়া সোয়ামীর মুখ বুক ফাট্যা যায়॥
আপনি উবাস থাক্যা পরে নাহি কয়।
সোয়ামী-শাশুড়ীর দুঃখু আর কত সয়॥
লাজত মানের ভয় আর নাই রক্ষা।[১]
অখন করিবে মাত্র বাড়ী বাড়ী ভিক্ষা॥
এরে দেখ্যা চান্দ বিনোদ কোন কাম করিল।
ঘরের স্ত্রীর কাছে কিছু ফুইদ[২] না করিল॥
মায়েরে না কইয়া বিনোদ রাত্র নিশাকালে।
বৈদেশে করিল মেলা পোঘমাস্যা দিনে॥
(১৪)
অদৃষ্টের ফের
এমন দুঃখু কালে কাজী কোন কাম করে।
ফিরিয়া পাঠাইল সেই নেতাই কুটুনিরে॥
কুট্টুনি আসিয়া কয় “বড় বাপের ঝি।
পরের লাগ্যা দুঃখু কইরা তোমার হইব কি॥
কাজীর ঘরে গেলে দাতে কাট্যা[৩] খাইবা সোনা।
উপাস করিয়া কেন হও ক্ষিধায় ফানা॥
এই মুইঠ চাউল নাই ঘরেতে তোমার।
এমন শরীরে দুঃখু কত সহে আর॥
ফিরিয়া পাঠাইল কাজী তোমার দোয়ারে[৪]।
মরজি করিয়া তুমি সাদি কর তারে॥
ধান ভান সুতা কাট না সাজে তোমায়।
এমন অঙ্গে ছিড়া কাপড় শোভা নাহি পায়॥