আমার মন্দিরে তুই না আসিস্ আর।
তা হইলে গর্দ্দান কিন্তু যাইবে আর বার॥
কারকুনে কহিস তার মুখে মারি ঝাটা।
বাড়ীর চাকর হইয়া এত বুকের পাটা॥
পায়ের গোলাম হইয়া শিরে উঠতে চায়।
বেঙ্গে কবে শুনেছিস্ পদ্মের মধু খায়॥
ইচ্ছা যদি করি তারে দিতে পারি শূলে।
কুকুরে কামড়ায় কেবা কুকুরে কামড় দিলে॥”
চুপি চুপি গোয়ালিনী আসিল বাহিরে।
দন্ত বাহিয়া তার রক্তধারা পড়ে॥
পন্থের লোক জিজ্ঞাসা করে রক্ত কেন দাতে।
গোয়ালিনী কহে মৌরে মারিল সান্নিকে॥
আরও লোকে জানিবারে চাহিত খুলাসা।
যতই জিজ্ঞাসা করে তত করে গুসা॥
মর্মকথা কইতে নারে ভাঙ্গিয়া চুরিয়া।
বাড়ী গিয়া কান্দে নারী শিরে হাত দিয়া॥
দ্বিজ ঈশান কয় কিল আর তেল।
একবার পড়িলেই গণ্ডগোল গেল॥১—২১৬
( ৬ )
প্রতিশোধ
সন্ধ্যাবেলা কারকুন তবে কোন কাম করে।
উতলা হইয়া যায় গোয়ালিনীর বাসরে॥
আনচান করে মন কত লাগে ভয়।
কি জানি গোয়ালিনী কোন কথা কয়॥
কারকুনে দেখিয়া গোয়ালিনীর ক্রোধে অঙ্গ জ্বলে
গালি দিয়া কারকুনেরে যত কথা বলে॥