এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
মৈমনসিংহ-গীতিকা
কারকুনকে দেইখ্যা কয় “আট-কুরীর[১] বেটা।
মোর বাড়ীতে আইলে তোর মুখে মারবাম ঝাটা॥
তোর লাগিয়া মোর এতেক অপমান।
পুরুষ হইলে তোর কাইট্যা দিতাম কাণ॥
আর একবার যদি আইস আমারে ডাকিয়া।
শূলে দিবাম তোরে আমি কন্যারে বলিয়া॥”
গোয়ালিনীর মুখে শুইন্যা এতেক বচন।
দুঃখিত হইয়া কারকুন ভাবে মনে মন॥
“আর না আসিব ফিরে গোয়ালিনীর বাড়ী।
ছারকার করব চাকলা সাত দিনের আড়ি[২]॥”
তারপর গিয়া দুষ্ট। কমলার পাশ।
বলেতে পুরাইবাম নিজ অভিলাষ॥
ঘরের খোন্দলে[৩] কারকুন ভাবে মনে মনে।
বেইজ্জতের প্রতিশোধ[৪] লইবাম কেমনে॥
ভাবিয়া চিন্তিয়া কারকুন কি কাম করিল।
জমিদারের কাছে এক পত্র পাঠাইল॥
রঘুপুরে বাস করে মাল জমিদার।
তার অধীনে এই মানিক চাকলাদার॥
তার অধীনে কারকুন করিয়া চাকরী।
মনে মনে ফন্দি আঁটে দিতে গলায় দড়ি॥
পত্র
“পরথমে পন্নাম করি ধর্ম অবতার।
তার পর নিবেদন শুনখাইন[৫] আমার॥