চাকলাদার পাইছে ধন মাটি যে খুড়িয়া।
সাত ঘড়া মোহর কেবল গনিয়া বাছিয়া॥
না জানায় এই কথা মালিক গোচরে।
জমিদারের ধন আইন্যা রাখছে নিজ ধরে॥”১—৩২
( ৭ )
জমিদার কৃত নিগ্রহ
পত্র পাইয়া জমিদার কোন কাম করিল।
চাকলাদারে আনিবারে পাইক পাঠাইল॥
হাজারে বেজারে লোক বাড়ী যে ঘেরিয়া।
মানিকে বান্ধিয়া নিল পিছমোড়া দিয়া॥
চাকলাদারে জিজ্ঞাসা করিল জমিদার।
“কত ধন পাইয়াছ কিবা সমাচার॥”
হুজুরে মানিক কয় অবাক্কি হইয়া[১]।
“এতেক জুলুম মোরে কিসের লাগিয়া॥
কে কহিল, ধন পাইয়াছি কোথায়।
কিসের লাগিয়া মোর ঘটল এমন দায়॥”
এত শুনি জমিদারের ক্রোধে অঙ্গ জ্বলে।
মানিকে বান্ধিয়া তবে রাখে খুন-শালে[২]॥
এ দিকে হইল কিবা শুন মন দিয়া।
কারকুনে আর্টিল ফন্দি মনেতে ভাবিয়া॥
বেড়ায় ভাঙ্গিতে যেমন চোরের হয় মন।
এক বেড়া কমলার ভাই সে সুধন॥
ভাবিয়া চিন্তিয়া কারকুন কয় সুধনেরে।
“জমিদারে বাইন্ধ্যা নিছে তোমার বাপেরে॥