( ৯ )
কলঙ্ক রটনা
শুনিয়া আছয়ে কমলা মামার যে বাড়ী।
মামারে লিখিল পত্র অতি শীঘ্র করি॥
“শুন শুন শুন ওগো তোমার ভাগিনী।
পরপুরুষে মইজে হইল কলঙ্কিনী॥
তুমি যদি রাখ তারে আদর করিয়া।
পঞ্চাইতে রাখিব তোমার বাছ[১] যে করিয়া॥
নাপিতে ছাড়িব তোমার ছাড়িব ঠাকুরে।
এক ঘইরা হইবা তুমি কইলাম সুবিস্তরে॥
চাড়াল বেটার লাগ্যা কমলা হইল পাগল।
কামেতে মাতিয়া দুষ্টা ভাসাইল কুল॥
কলঙ্কিনী হৈল তার গেল কুলজাতি।
এই পাপের নাহি জান্য পরাচিত্তির পাতি[২]॥
বাপের কুল ভাসাইয়া গেল তোমার বাড়ী।
তোমার বাড়ী হইতে তারে খেদাও শীঘ্র করি॥
আর শুন কই তোমারে শুন মন দিয়া।
কিবা হুকুম দিল জমিদার শুনিয়া॥
কলঙ্কিনী কমলারে যেবা দিবে স্থান।
জন বাচ্ছা[৩] সহিতে তার যাইব গর্দ্দান॥”
পরবাসে থাইক্যা মাতুল এই পত্র পাইয়া।
বাড়ীতে লিখিল পত্র শীঘ্রগতি হইয়া॥
কমলার মামীর কাছে পত্র যে লিখিল।
এবারত[৪] লেইখ্যা যত কুচ্ছা যে করিল॥
“পরবাসে থাইক্যা শুনলাম দুইয়ে মায়ে ঝিয়ে।
আমার বাড়ীতে আছে কিসের লাগিয়ে॥