কুমারী হইয়া কন্যা ভাঙ্গাইল জাতি।
পর না পুরুষের[১] ভজ্যা এত না দুর্গতি॥
বিয়া না হইতে কন্যা কুল মজাইল।
ভাড়াই[২] নাগর সঙ্গে ঘরের বাইর হইল॥
এমন কন্যারে তুমি ঘরে নাহি দিবে স্থান।
ঘরের বাহির কইরা দিবা কইরা অপমান॥
এক দণ্ড যেন নাহি থাকে মোর ঘরে।
চুলে ধইরা ঘরের বাহির কইরা দিবা তারে॥
সমাজে না লইবে মোরে কমলা থাকিলে।
পতিত হইয়া রইব মজ্ব জাতিকুলে॥”
এই পত্র পাইয়া মামী কি কাম করিল।
পত্র পড়িয়া তবে ভাবিতে লাগিল॥
“সাক্ষাৎ ভাগিনী আর অবিয়াত[৩] কুমারী।
কেমন কইরা দেই তারে ঘরের বাহির করি॥
জাতিকুল লইয়া কন্যা যাবে কার কাছে।
এমন কমলার ভাগ্যে এত দুঃখ আছে॥
মায়ে ঝিয়ে কান্বে[৪] যখন কিবা কইবাম কথা।
এমন কোমল প্রাণে কেমনে দিব ব্যথা॥”
ভাবিয়া চিন্তিয়া মামী কোন কাজ করে।
পত্রখানা ফেইল্যা রাখে সেজের[৫] উপরে॥১—৪৪
( ১০ )
কমলার গৃহত্যাগ
সন্ধ্যাবেলা ঘরে গেল কমলা সুন্দরী।
সেজের উপরে দেখে পত্রখানা পড়ি॥