পৌষ গেল মাঘরে গেল ফাল্গুন আইল।
বসন্তে যৌবন-জ্বালা দ্বিগুণ বাড়িল॥
কি বুঝিবা আরে দূতী কাল বসন্তের জ্বালা।
যার ঘরেতে নাই সে পতি যৈবতী[১] একেলা॥
চৈত[২] মাসেতে দূতী বহিছে চৈতালী[৩]।
দেশে না আসিন বন্ধু হইলাম পাগলী॥
চৈত মাস যায় দূতী বচ্ছর হইল শেষ।
একদিন না বান্ধিলাম আভাগীর চিকণ কেশ॥
একদিন বাগিচায় ফুল না লইলাম তুলিয়া।
মধুর যৈবন গত হইল ভাবিয়া চিন্তিয়া॥
গায়েতে পড়িল - - -যৈবন হইল কালি।
কোন কুঞ্জে বিরাজ করে আমার বনমালী॥
জ্যেষ্ঠ মাসেতে দূতী গাছে পাকনা আম।
কপাল বাইয়া পড়ে কন্যার জ্যৈষ্ঠমাস্যা[৪] ঘাম॥
তালের পাতা লইয়া বাতাস করে যত দাসী।
বাতাসে কি শীতল হয় মন যার উদাসী॥
(৯)
সুনাইর শ্বশুর দেশে আইল ফিরিয়া।
বধুর কাছে কয় কথা কান্দিয়া কান্দিয়া॥
“তুমিত প্রাণের বন্ধু কহি যে তোমারে।
এক পুত্র আছিল মোর বংশের দুয়ারে॥
সেও পুত্র হারা হইলাম কপালের দোষে।
তোমার লাগ্যা দেওয়ান ভাবনা মোরে অপবশে॥