আমারে বান্ধিয়া নিন ভাবনার সহরে।
মাধবে পাইয়া দেওয়ান ছাইরা দিল মোরে॥
শুন বধূ তুমি যদি কিরপা[১] নাইসে কর।
অকালেতে পুত্র আমার যাইব যমের ঘর॥
দুরন্ত দুর্জন ভাবনা পরতিজ্ঞা[২] যে করে।
তোমারে পাইলে ছাইরা দিব মাধবেরে॥
বংশের নিদান পুত্র এক বিনে নাই।
তোমারে ছাড়িয়া যদি পরাণের পুত্র পাই॥”
এই কথা শুনিয়া সুনাইর চউখে[৩] আইসে পানি।
আউল[৪] কেশ বান্ধ্যা কন্যা মুছে চউখের পানি॥
ভাওয়ালিয়া সাজাইতে কইল আপন শ্বশুরে।
পতি উদ্ধারিতে কন্যা যায় ভাবনার সরে[৫]॥
সঙ্গে লইল জড়ের[৬] লাড়ু কটরায় ভরিয়া।
দেওয়ান ভাবনার সরে কন্যা দাখিল হইল গিয়া॥
খবর পাইয়া দেওয়ান ভাবনা কোন্ কাম করে।
সুনাইরে দেখিতে আইল ভাওল্যা উপরে॥
সুনাইরে দেখিয়া ভাবনা হইল অজ্ঞান।
দেখিতে যৈবতী কন্যা পূর্ণিমার চান॥
“শুন শুন দেওয়ান ভাবনা কহি যে তোমারে।
প্রাণের বন্ধু বন্দী কইরা রাখছ তোমার ঘরে॥
আমি যে আইছিগো দেওয়ান এই যে তোমার ঘরে।
এই কথা না জানাইও প্রাণের বন্ধুরে॥
শুন শুন দেওয়ান ভাবনা আমার মাথার কিরা[৭]।
না কয় যেন আমার কথা যতেক খবইরা[৮]॥