“যদি মোর ডোম আসে লাগ পায় তোর।
দিবে সে উচিত শাস্তি চুলে ধরি তোর॥
তোমারে কাটিয়া আজি ফেলিবেক গাড়ি[১]।
বৃষ গোটা বেচিয়া লইবে খেয়ার কড়ি॥”
আপনার নিজ মূর্ত্তি ধরিলা ভবানী।
লজ্জিত হৈলা দেখি দেব শূলপাণি॥
“ভাগ্যে যে আসিনু আমি ডুমুনীর রূপ ধরি।
তে কারণে জাতিরক্ষা হৈল ত্রিপুরারি॥”
- এত দূরে গিয়া যখন মৃদঙ্গে মারল তালী।
- দলবলে কেনারাম হাসে খলখলি॥
“সঙ্গে না লইও তারে মোর মাথা খাও[২]॥
এহি কন্যা অষ্ট কোটী নাগের জননী।
বিষহরি নামে কন্যা হবে ত্রিলোচনী॥
দেব নর যক্ষ রক্ষ ডরিবে তাহারে।
কন্যারে রাখিয়া তুমি যাও নিজ ঘরে॥”
এহি কথা শুনে চণ্ডী গেলা পদ্মবনে।
পদ্মবন দেখে চণ্ডী হরসিত মনে॥
এক দিন দুই দিন তিন দিন গেল।
দারুণ বিষের জ্বালা অঙ্গে প্রবেশিল॥
দিবাশেষে কন্যা এক লভিল জনম।
কন্যার রূপেতে উজলা পদ্মবন॥
পূর্ণিমার চন্দ্র যেন উদিল ধরায়।
কন্যারে দেখিয়া চণ্ডী করে হায় হায়॥
এমন কন্যারে রাখি কেমনে যাব ঘরে।
শিবের বচন চণ্ডী ক্ষণে ক্ষণে স্মরে॥