আমিত যুবতী নারী তুমি বৃদ্ধ বুড়া।
দন্তহীন বাঘে যেন কামড়ায় মরা॥
বয়স কালে যা করেছ সেই লয় মনে।
পূর্ব্বকথা কহ বুড়া নির্লজ্জ কারণে॥”
শিব বলে “বুড়া কথা না কহ ডুমুনী।
মরিচ যতই পাকে তত হয় ঝাল।
আমি ভাবি এহিত মোর যৌবনের কাল॥”
ডুমুনী বলয়ে “তুমি কড়ার ভিখারী।
কি দিয়া করিখে বশ পরের সুন্দরী॥”
শিব বলে “খেয়া দিয়া পাও যত কড়ি।
তাহার দ্বিগুণ কড়ি লহ লেখা করি॥
কালি প্রাতে যান আমি কুবের-নগরে।
ভিক্ষা করি যাহা পাই দিব আমি তোরে॥”
ডুমুনী বলে ত “মোর হইল ভরসা।
ভিক্ষা করি ধন আনি পুরাইবে আশা॥
এমন ভাঙ্গর তুমি নাহি কিছু জ্ঞান।
মনে ভাব আমা হতে তুমি জ্ঞানবান্॥”
শিব বলে “কেন তুমি বল এমন কথা।
শুনিয়া তোমার কথা শেল হৃদে গাঁথা॥”
হাসয়ে ডুমুনী শুনি শিবের বচন।
আস্তে ব্যস্তে ঘাটে নৌকা লাগায় তখন॥
লড় দিয়া ডুমুনী যে চলে নিজ ঘরে।
পশ্চাতে সামায়[১] শিব ডুমুনীর ঘরে॥
চীৎকার করিয়া ডুমুনী ডাকে সর্ব্বজনে।
প্রমাদ পড়িল হেতা সাক্ষী কারে মানে॥
- ↑ সামায়=সান্ধায়, প্রবেশ করে।