উজনি নগর তথি গন্ধ বনিয়া জাতি
সাহ রাজা বড় ধনেশ্বর।
তার কন্যা বেহুলা রূপে গুণে চন্দ্রকলা
সেহি কন্যা যোগ্য লক্ষ্মীন্দর॥
সেই সে কন্যার গুণে হারাইলে ধন আনে
মইলে মরা জিয়াইতে পারে।
শুদ্ধমতি অতিশয় দেবতা সাক্ষাৎ হয়
স্মরণে জানায় দেবপুরে॥
লোহার তণ্ডুলে অন্ন যদ্যপি কর ভক্ষণ
সতী কন্যা রান্ধিবারে পারে।
এহি মত কন্যার কথা সর্ব্বগুণ সুচরিতা
জানি আমি কহিনু তোমারে॥”
হাসিয়া বলয়ে চান্দ “যদি থাকে নির্ব্বন্ধ
এই কন্যা করাইবা বিয়া।
কুলে শীলে যোগ্য ঘর যেন কন্যা তেন বর
কার্য্য আর নাহি বিচারিয়া॥
বিলম্বে নাহি কাজ হস্তী-ঘোড়। কর সাজ
যাইব আমি কন্যার যোরনী।
জ্ঞাতি-কুটুম্বগণ শীঘ্র কর নিমন্ত্রণ”
দ্বিজ বংশীর মধুরস বাণী॥
কর্ম্মকর্ত্তা ফরমাইস দিলা বিয়ার কথা থইয়া।
বেউলার পূর্ব্বজন্মকথা শুন মন দিয়া॥
ঊষা অনিরুদ্ধ নামে গন্ধর্ব্ব আছিল।
নৃত্যগীত করিবারে ইন্দ্রপুরে গেল॥
কাঁচা মৃত্তিকার সরা[১] তাতে ভর করি।
দেবেরে মোহিতে নাচে ঊমা যে সুন্দরী॥
- ↑ কাঁচা মাটীর সরার উপর নৃত্য করিয়া কলাকৌশল দেখাইবার প্রথা ছিল। এরূপ ক্ষিপ্রচরণে, প্রায় বায়ুতে ভর করিয়া নৃত্য করা হইত যে, কাঁচা মাটীর সরার উপর পা পড়িত কি না পড়িত। এই কলা এখন বিলুপ্ত।