শীতল পাটী পাইয়া তবে শীতল হইল মন।
পাইল ভেটের দ্রব্য যত আয়োজন॥
দশ হাজার তঙ্কা পাইয়া খুসী হইলা মিঞা।
রাজচন্দ্রে দিলা ঘর বাছাই করিয়া॥
নবাবের সরে রাজা আছে খুসী মন।
ঘরেতে থাকিয়া রাণী দেখিল স্বপন॥১—৪৪
(২)
এক দুই মাস করি বছর গোঁয়ায়[১]।
কুস্বপন দেখিয়া রাণী করে হায় হায়॥
বছর গোঁয়াইল রাণী তবে এইমতে।
দুই বছর যায় রাণী চাইয়া পথে পথে॥
তিন বছর গেল যদি রাজা না আইল।
বিপদ গণিয়া রাণীর বড় চিন্তা হইল॥
ঘরেতে কুমারী কন্যা বিয়ার যোগ্য হইল।
চৌদ্দ বছরের কন্যা আবিয়াইত[২] রইল॥
পাড়ার লোকে কানাকানি রাণী তাহা শুনে।
কি মতে ধরায়[৩] কহ মায়ের পরাণে॥
যুবা[৪] কন্যা লইয়া মায়ে একলা শুয়ে ঘরে।
রাত্রিদিন করে রাণা চিন্তা জারে জারে[৫]॥
ভাবিয়া চিন্তিয়া রাণী কি কাম করিল।
রাজার নিকটে এক লিখনি[৬] পাঠাইল॥
লিখনিতে লেখে রাণী যত সমাচার।
পরথমে[৭] পতির পায়ে করে নমস্কার॥