যাও যাও বিচিত্র আরে মাধব সুন্দর।
যেখানে যে দেশে গেছে পুত্র কঙ্কধর॥
লাগাল পাইলে তারে করেতে ধরিয়া।
আমার মাথার কিরা আসিও জানাইয়া॥
মাতৃহীন পাটলীরে দেয় তৃণজল।
আশ্রমে এমন আর নাহিক সম্বল॥”
“আর কইও আর কইও জানায়ে মিনতি।
সন্দেহ ঘুচেছে মোর কঙ্কধর প্রতি॥
আরও কইও আরও কইও পোষনিয়া পাখী
ক্ষীর-সর ত্যজিয়াছে তোমারে না দেখি॥
আন্ধাইরে ঢাকি রইছে চাঁদের বাগান।
আমার আশ্রম আজি হইয়াছে শ্মশান॥
যত দিন নাহি ফিরি কঙ্কেরে লইয়া।
তত দিন এহিমতে থাকিবে বসিয়া॥
না খাইব অন্ন আর না ছুইব পানি।
এইরূপে অনাহারে ত্যজিব পরাণী॥
যদি নাহি পাও তোমরা কঙ্কের দরশন।
তবে জাইন এহিভাবে আমার মরণ॥
আর যদি দেখা পাও কইও করে ধরি।
অপরাধ করিয়াছি ক্ষমা ভিক্ষ। করি॥”
গুরু-পদধূলি দোহে শিরে লইল তুলি।
আশীর্ব্বাদ করে গর্গ হরি হরি বলি॥
বিদায় হইয়া দোহে গর্গের চরণে।
চলিলেক দেশান্তরে কঙ্কের অন্বেষণে॥
বিচিত্র-মাধব যায় কঙ্কে অন্বেষিতে।
ঘরে থাকি নীল। তাহা শুনে সচকিতে॥১—৩৬
পাতা:মৈমনসিংহ গীতিকা (প্রথম খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৯৪
মৈমনসিংহ-গীতিকা