(১৭)
লীলার কষ্ট
অবধান সভাজন শুণ দিয়া মন।
বিরহিণী লীলার শুন যত বিবরণ॥
অন্ন নাহি খায় লীলা নাহি ছুয়ে পানি।
ভূতলে পাতিল শয্যা লীলা বিরহিণী॥
চলিছে বিচিত্র-মাধব কঙ্কের কারণে।
ঘরে বৈসা লীলাবতী দুঃখে ভাবে মনে॥
“অভিমানে কঙ্ক যদি ফিরে নাহি আসে।
কেমনে হইবে দেখা থাকিলে বৈদেশে॥
কি জানি কঙ্কেরে তারা খুঁজিয়া না পায়।
জিয়ন্তে না হবে দেখা কি হবে উপায়॥
আহা কঙ্ক কোথা গেলে ছাড়িয়া লীলায়।
তোমার মালঞ্চে ফুল বাসী হৈয়া যায়॥
পূবেতে উদয়রে ভানু পশ্চিমে অস্ত যাও।
ব্রহ্মাণ্ড ঘুরিয়া কঙ্কের দেখানিগো পাও॥
এমন আন্ধাইর নাইরে তোমার আলো নাহি পশে।
যাওয়া-আসা ঠাকুর তোমার আছে সর্ব্বদেশে॥
কহিও কহিও ঠাকুর আরে তুমি দিনমণি।
যাহার লাগিয়া আমি হইনু পাগলিনী॥
লাগাল পাইলে তারে আমার কথা কইও।
আলোক চিনাইয়া পথ[১] দেশেতে জানিও॥”
“শুনরে বিদেশী ভাই মাঝি-মাল্লাগণ।
কত না দেশেতে তোমরা কর বিচরণ॥
পাহাড়ে পর্ব্বতে যাও তরণী বাহিয়া।
লাগাল পাইলে বন্ধে আনিও কহিয়া॥
- ↑ আলোক—পথ=তোমার আলোদ্বারা তাহার পথ চিনাইয়া লইয়া এস।