আশ্চর্য্য লাগ্ল[১]। কারণ, তার কন্যা কাজলরেখা ছাড়া ধর্ম্মমতি শুকের সন্ধান আর কেউ জানিত না। রাজা ভাবল যে, সুখে থাউক[২], দুঃখে থাউক—আমার কন্যা কাজলরেখাই এই শুকপক্ষী নিবার জন্য লোক পাঠাইয়াছে। তখন ধনেশ্বর মনের মধ্যে কোন দ্বিভাব না আইন্যা[৩] ধর্ম্মমতি শুক দিয়া সূচ রাজারে বিদায় দিল। রাজাও ধর্ম্মমতি শুক পাইয়া খুব সুখী হইয়াছিল। কারণ, সে কাজলরেখার মন রক্ষা কর্ত পার্ব বইল্যা[৪]।
(১৬)
রাজা বাড়ীতে যাইয়া—নকল রাণীর ফরমাইসি জিনিস নকল রাণীকে দিল। কাজলরেখার ফরমাইসি জিনিস কাজলরেখাকে দিল কিন্তু কাউকে কিছুই কইল না।
এদিকে মন্ত্রী কি করল শুন;—মন্ত্রী রাজার অবর্ত্তমানে কর্ছিল[৫] কি রাজ্যের যত কঢিন[৬] বিষয়াশয়ের কথা নকল রাণী এবং কাজলরেখার কাছে যাইয়া জিজ্ঞাসা কর্ত। নকল রাণী এই সব কিছু বুঝ্ত না, কিন্তু একটা হুকুম জারি কর্ত। সে একদিন মন্ত্রীকে এমন কাজের একটা হুকুম দিল যে রাজ্যের তাতে অনেক ক্ষতি হইল এবং[৭] মন্ত্রী কিন্তু তার হুকুম মতই কাজ কর্ল। এই সময় রাজ্যে খুব একটা বিপদ পড়্ছিল[৮]। মন্ত্রী সেই বিপদের কোনো কূল কিনারা না কর্ত্তে পাইরা[৯] কাজলরেখার কাছে যুক্তি জিজ্ঞাসা কর্ল। কাজলরেখা এমন যুক্তি দিল যে তাতে রাজ্যের বিপদ বালাই কাইট্যা[১০] গেল। এই দুই কারণ লইয়া মন্ত্রী রাজাকে সব বুঝাইয়া দিল। রাজারও বুঝতে বাকি রইল না। তখন আরও একটা পরীক্ষা করার কথা স্থির অইল। মন্ত্রী কইল,—মহারাজ! আপনার বন্ধুরে নিমন্তুন কইরা বাড়ীত আন্খুয়াইন্[১১]। পাক করিবার ভার একদিন রাণীর উপর এবং একদিন