দাসীর উপর দেওয়া হইল। নকল রাণী পাক করিল চাইল্তার অম্বল, ডৌউয়ার[১] ঝাল, আলবনে কচুশাক—সে সব খাইয়া রাজা খুব লজ্জিত হইল।
পরদিন দাসীর পালা।
ভোরেত উঠিয়া কন্যা ভোরের সিনান করে।
শুদ্ধ শান্তে যায় কন্যা রন্ধনশালার ঘরে॥
উবু[২] কইরা বান্ধ্যা কেশ আইট্যা[৩] বসন পরে।
গাঙ্গের না পানি দিয়া ঘর মাজন করে॥
মশল্লা পিটালি লইল পাটাতে বাটিয়া।
মানকচু লইল কন্যা কাটিয়া কুটিয়া॥
জোরা কইতর রান্ধে আর মাছ নানা জাতি।
পায়েস পরমান্ন রান্ধে সুন্দর যুবতী॥
নানা জাতি পিঠা করে গন্ধে আমোদিত।
চন্দ্রপুলি করে কন্যা চন্দ্রের আকির্ত[৪]॥
চই[৫] চপড়ি[৬] পোয়া[৭] সুরস রসাল।
তা’ দিয়া সাজাইল কন্যা সুবর্ণের থাল॥
ক্ষীরপুলি করে কন্যা ক্ষীরেতে ভরিয়া।
রসাল করিল তায় চিনির ভাজ দিয়া॥
উত্তম কাঁঠালের পিড়ি ঘরেতে পাতিল।
ছিটা ছড়া[৮] দিয়া কন্যা পরিচ্ছন্ন কইল॥
সোনার থালে বাড়ে কন্যা চিক্কণ সাইলের ভাত।
ঘরে ছিল পাতি নেম্বু কাইট্যা দিল তাত্॥
সোনার বাটীতে রাখে দধি দুগ্ধ ক্ষীর।
ঘরে মজা সবরি কলা[৯] কইরা দিল চির॥