হাতী ঘোড়া আছে কত লেখাজুখা নাই।
বাথানেতে[১] চড়ে তার নব লক্ষ গাই॥
ধনদৌলতের তার নাহি কোন সীমা।
ডিঙ্গা বান্ধাইছে বাপে দিয়া যত সোনা॥
জলটুঙ্গী ঘর আছে আমার বাপের বাড়ী।
খাট পালঙ্ক আছে কত চান্দুয়া[২] মশারী॥
আবিয়াত আছি আমি না কইরাছি বিয়া।
শূন্যি ঘর পুন্নু[৩] কর কইরা মোরে দয়া॥
বাড়ীর যত দাসদাসী সেবিব তোমারে।
এই পথে লইয়া যাই চল মোর ঘরে॥”
“তুমি ত রাজার বন্ধু আমি রাজার দাসী।
কর্ম্মেতে কইরাছে মোরে এই বনবাসী॥
বনবাসে দিতে মোরে রাজা দিছে কইয়া।
রাজার পুত্র হইয়া কেন দাসী করবা বিয়া॥”
“দাসী যে আছিলা কন্যা রাণী করবাম তোরে।
একবার চল কন্যা আমার মন্দিরে॥
সুবর্ণ মন্দিরে আছে সোনার খাট পালঙ্।
আমার বাপের পুরী দেখিবা কেমন॥”
কন্যা কয় “শুন রাজা আমার কাহিনী।
বাপে বনবাস দিল জাইন্যা[৪] কলঙ্কিনী॥
রাজার বাড়ীর দাসী ছিলাম কলঙ্কী হইয়া।
ধরের বাহির হইলাম আমি কলঙ্ক লইয়া॥
ডুবাইয়া দেও মোরে এই না সাগরজলে।
মাইন্সেরে[৫] না দেখাইবাম মুখ কোন কালে॥”