বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ মোছলেম জগতের ইতিহাস । পোষকতা করাকেই তিনি স্বীয় কৰ্ত্তব্য মনে করিতেন। সুতরাং যখন এজিদ সিংহাসনে আরোহণ করিলেন, তখন তিনি র্তাহার বগুতা স্বীকার করিলেন না এবং নিরাপদ হইবার জন্য মদিন পরিত্যাগ করিয়া মক্কায় গিয়া আশ্রয় গ্রহণ করেন। এই সময় জোবায়ের পুত্র আবদুল্লা মক্কার অধিপতি। আবদুল্লার ভ্রাতা আমরের নেতৃত্বে এজিদ আবদুল্লাকে দমন করিবার জন্ত যে সৈন্যদল প্রেরণ করিয়াছিলেন, আবদুল্লা তাহাদিগকে পরাভূত করিয়া কতকটা নিরাপদে মক্কায় প্রভুত্ব করিতেছিলেন। সুতরাং এমাম হোছায়ন আপাততঃ তথায় বাস করাই যুক্তিযুক্ত মনে করিয়াছিলেন । " কিন্তু এই সময়ে কুফার অধিবাসিগণ র্তাহাকে ইরাকের শাসনভার গ্রহণ করিবার জন্ত নিমন্ত্রণ করিল। এমাম হোছায়ন প্রকৃত তথ্য জানিবার জষ্ঠ মোছলেম নামক জনৈক আত্মীয়কে তথায় প্রেরণ করেন। মোছলেম পৌছিবামাত্র কুফাবাসিগণ র্তাহার পক্ষ অবলম্বন করিতে অঙ্গীকার করিল। তৎপরে মোছলেম এমাম হোছায়নকে আসিবার জন্য অনুরোধ পত্র লিথিয়া পাঠাইলেন। ইত্যবসরে ইরাকের তৎকালীন শাসনকৰ্ত্তা ওবায়তুল্লাবেনে-জেয়াদ মোছলেমকে বধ করিয়াছিল। এয়াম হোছায়ন মোছলেমের পরামর্শানুসারে কুফার উদ্দেশে যাত্রা করিতে সংকর করিলেন। তাহার বন্ধু বান্ধবগণ কুফাবাসিগণের প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করিতে তাহাকে নিষেধ করেন। কিন্তু তাহদের নিষেধবাক্য গ্রাহ না করিয়া তিনি কয়েক জন আত্মীয় স্বজন ও বিশ্বাসী অনুচর এবং পরিবরস্থ শিশুসন্তান ও মহিলাগণ সহ ৬৮০ খৃঃ অব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কুফাভিমুখে যাত্রা করিলেন। পথিমধ্যে এমাম হোছানু মোছলেমের স্তুত্যার বিষয় অবগত হইলেন। ওবায়দুল্লা হেজাজ হইতে ইরাক পৰ্য্যন্ত স্থানে স্থানে অশ্বারোহী সৈন্য স্থাপন করিয়াছিলেন। সৈন্যদলের অধ্যক্ষ তাহাকে জানাইল যে, তিনি, ওবেদুল্লা কর্তৃক তাহার নিকট প্রেরিত হইয়াছেন। তখন এমাম হোসায়ন অল্পক্ষণের