বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস। 8K) মধ্যে জানিতে পারিলেন যে, কুফাবাসিগণ ওবেদুল্লার ভয়ে তাহার পক্ষ ত্যাগ করিয়াছে। এই সময়ে উত্মীয়া শাসন-কর্তী (ওবায়দুল্লা) হোছায়নকে বহুতো স্বীকার করিতে অনুরোধ করিলেন এবং ফোরাত নদীর পথ বন্ধ করিয়া দিলেন ; কিন্তু হোছায়ন নির্ভীকচিত্তে র্তাহার অনুরোধ উপেক্ষা করিলেন। তিনি মনে করিয়াছিলেন, কুফার অধিবাসিগণ মোছবুেমের হত্যা হেতু উমীয়গণের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হইয়া তাহার পক্ষ অবলম্বন করিবে ; কিন্তু কুফাবাসিগণ ওবায়দুল্লা কর্তৃক প্রলুব্ধ হইয়াছিল। ইরাকে পৌঁছিয়া কুফার প্রতিশ্রত সৈন্যগণকে না দেখিয়া তিনি শত্রুদিগের চক্রান্ত এবং কুফাবাসিদিগের বিশ্বাসঘাতকতা উপলব্ধি করিয়া মহররম মাসের প্রথমাংশে ইউফ্রেতিস নদীর পশ্চিম কুলে কুফার ২৫ মাইল উত্তরে কারবালা নামক স্থানে শিবির সন্নিবেশ করিলেন। কারবালা—৬৮০ খৃঃ অব্দের ১০ই অক্টোবর কারবালা প্রান্তরে উভয় পক্ষে তুমুল কুকুর আয়ােজনু হইল। ওমর-বিন্‌ছায়াদ ৪০০০ সৈন্ত লইয়া ওবায়দুল্লা-বিন্‌জেয়াদের পক্ষে কারবালা ভূমিতে উপনীত হইল। হোছায়ন উমীয় বংশীয়ুদিগের ন্যায়পরায়ণতার উপর নির্ভর করিলেন। তিনি তাহাট্রিগকে নিঃসহায় শিশু ও স্ত্রীলোকদিগের প্রতি বিদ্রোহাচরণে বিরত থাকিতে অনুরোধ করিলেন। তিনি বলিলেন “আমি যেস্থান হইতে আসিয়াছি, আমাকে সেই স্থানে প্রত্যাবর্তন করিতে দাও, যদি তাহাতে সন্মত না হও, তবে দামেস্কে এজিদের সম্মুখীন হইয়া আমাকে কথা বলতে দাও ; যদি তাহাতেও রাজি না হও, তবে ইছলাম শক্রর বিরুদ্ধে আমাকে লড়িতে দাও।” সেনানায়ুক তাহার কথায় কুর্ণপাত না করিয়া নিষ্ঠুর, পাপিষ্ঠ শোমারকে আদেশ দিলেন, “কালবিলম্ব না করিয়া তুমি হোছায়নকে মৃত কি জীবিত অবস্থায়.কুফায় লইয়া আইস।” ইমাম হোছায়ন জীবনের শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত যুদ্ধ করিতে কৃত-সংকল্প হইলেন। যুদ্ধ आईड হইল ; শিশু ও মহিলা