পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bre যশোহর-খুলনার ইতিহাস ফৌজদারগণ এই তালিকা ঠিক রাখিয়াছিলেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময়েও এই হিসাব মানিয়া লইয়। যশোর রাজ্যের অধিকাংশ, সৰ্ব্বপ্রথম নলতার ভঞ্জচৌধুরী, চাচড়া, কৃষ্ণনগর ও নলডাঙ্গার রাজার সহিত বন্দোবস্ত করা হয়। প্রতাপাদিত্যের পরগণাগুলির অধিকাংশ প্রথমোক্ত তিন জনের হস্তে পড়িয়াছিল, পরে তঁহাদের পতনের জন্ত কতকাংশ নানাহন্তে হস্তান্তরিত হইয়াছে। প্রতাপের রাজধানী এখনও বংশীপুর লাটের অন্তর্গত। vবংশীবদন ভঞ্জচৌধুরীর নামানুসারেই বংশীপুর নাম হয়। তৃতীয়তঃ বসন্ত রায়ই যশোর রাজ্যের নূতন রাজধানী স্থাপন করিয়া, তাহার নাম রাখেন যশোহর। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, তাহারই নামানুসারে বসন্তপুর হইয়াছিল। সেখান হইতে জঙ্গল কাটিয়া সাত আট মাইল স্থান পরিষ্কৃত করিয়া তিনিই রাজধানী স্থাপন করেন। আমরা অনুমান করি, মুকুন্দপুরেই যশোহরের প্রাচীন রাজধানী ছিল। ইহার বিশেষ আলোচনা পরে করিব, এস্থলে মাত্র বিষয়গুলির উল্লেখ করিতেছি। মুকুন্দপুরের চারি পাশে শুধু গড়ের চিহ্ন নছে, রাজধানীর আরও অনেক চিহ্ন বর্তমান। বসন্ত রায় এই মুকুন্দপুরের চারিধারে নিজের আত্মীয় স্বজন, জ্ঞাতি সামাজিক ও ব্রাহ্মণপণ্ডিতগণকে বসতি করাইয়াছিলেন। রাজধানীর সৌষ্ঠব বৃদ্ধির জন্যও তিনি বিশেষ চেষ্টা করেন। তবে রাজবাটীর জন্ত যে সব অস্থায়ী গৃহ অত্যধিক ব্যস্ততার সহিত নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহ বাত-বস্তার হস্ত হইতে বহুদিন আত্মরক্ষা করিতে পারে নাই। এখনও মুকুন্দপুর অঞ্চলে যেখানে সেখানে প্রাচীন ইষ্টক-চিহ্ন দেখা যায় ; ভগ্নাবশেষের ইষ্টকরাশি যে কোন কোন নূতন ইমারতের অঙ্গ পুষ্টি করে নাই, তাছাই বা কে বলিতে পারে ? বিক্রমাদিত্যের রাজারম্ভ হইতে রাজ্যরক্ষার জন্ত হিন্দু ও পাঠান বহু সৈন্ত সংগৃহীত হইতেছিল। হিন্দুদিগের জন্য রাজধানীতে ও নিকটবৰ্ত্ত নানাস্থানে বহু মন্দির ছিল এবং পাঠান সৈন্তগণের জন্ত মুকুন্দপুরের পূৰ্ব্বপার্শ্ববর্তী পরবাজপুরে অপূৰ্ব্ব মসজিদ নিৰ্ম্মিত হয়। পরবর্তী কালে প্রতাপাদিত্যও তাহার নূতন রাজধানীতে এই প্রণালীতে টেঙ্গ মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করেন। সে কথা পরে বলিব ; এখন এই প্রসঙ্গে পরবাজপুরের মসজিদের কথা বলিয়া লইতে চাই । পরবাজ খাঁ নামক কোন পাঠান সেনানীর নামে পরবাজপুর হইতে পারে,