পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপের দুর্গ-সংস্থান እUጫ সালথ ) নৌবাহিনী দ্বারা শক্রকে প্রতিনিবৃত্ত করিবার চেষ্ট হইত। নতুবা তাহাকে প্রলুব্ধ করিয়া তরঙ্গসস্কুল বন্ত নদীপথে আরও অগ্রসর হইতে দেওয়া হইত। কালিন্দী ও যমুনার সঙ্গমস্থলে, বসন্তপুরের নিকটে আলিয়া শক্রবাহিনী দেখিত প্রতাপের অসংখ্য রণতরী কামান সজ্জিত করিয়া বিপক্ষের অভ্যর্থনার জন্ত প্রস্তুত। এক পারে বুড়নে সৈন্ত-শিবির, অপর পারে দমদমার গুলি-বারুদ খান । সেখান হইতে একটু অগ্রসর হইলে, দক্ষিণ দিকে মুকুন্দপুর দুর্গ এবং মহব্বং পুরের গড়ের অসংখ্য অগ্নিবর্ষ তোপ সজ্জীভূত। সে সব স্থানে ও যদি যুদ্ধজয় করিয়া বা অন্ত কোন উপায়ে যমুনা বাহিয়া আরও অগ্রবর্তী হইতে বিপক্ষের পক্ষে সুযোগ হইত, তাছা হইলে যমুনা ও ইছামতীর মুক্ত সঙ্গমে যশোহরের দুরাক্রম্য দুর্গের ভীষণ বুরুজখানা তাহার সৰ্ব্বনাশ সাধন করিতে উষ্ঠত হইত। শক্ৰ যদি যমুনা বা ইছামতী দিয়া না আসিয়া ভৈরব পথে কপোতাক্ষ দিয়া আসিত, তাহ হইলে তাহার অভ্যর্থনার জন্ত কমলপুরের কপোতাক্ষদুর্গ এবং আরও পূৰ্ব্বদিকে যদি শিবসা বাহিয়া আসিত, তবে শিবসা দুর্গ প্রতিরোধ করিতে সমর্থ হইত। কিন্তু উত্তর দেশীয় শক্রর পক্ষে শিবসা পথে আশা সহজ বা সুবিধাজনক ছিল না। এজন্য শিবসা ও বেদকাশী দুর্গ সাধারণতঃ পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ দেশীয় শক্রকেট বাধা দিত। শত্ৰু-সৈন্ত যদি ভাগীরথী হইতে যমুনার প্রবেশ না করিয়া আরও দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হইত, তাহা হইলে প্রথমতঃ জগন্ধলে পরে রায়গড় হইতে তাহাদের গতিরোধ করিবার চেষ্ট হইত। তখন খিদিরপুর হইতে খনিত খালে ভাগীরথীর সহিত সরস্বতী বা রূপনারায়ণের সংযোগ হয় নাই, তখন আদিগঙ্গা পথেই বাণিজ্য পথ ছিল। সে পথে গেলে বিদ্যাধরী নদী দিয়া বর্তমান মাতলার কাছে পৌছিতে হয়। সেখানে প্রতাপের একটা দুর্গ ছিল। বিদ্যাধরীতে না পড়িয়া গঙ্গার পথে গেলে গঙ্গার সাগরসঙ্গমে সাগরদ্বীপ ; সেই স্থানে একটি দুর্গ ও নৌবাহিনীর পর্যাপ্ত সমাবেশ ছিল। উত্তরদিগৰ্ত্ত শক্রর কখনও নানা বাধা অতিক্রম করিয়া সমুদ্রে পড়িবার সাধ থাকিত না। মাতলা বা সগর দুর্গ প্রধানতঃ মগ ও ফিরিঙ্গি প্রভৃতি সামুদ্রিক দম্বদিগের জন্তই নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। কিন্তু শুধু এই দুইটি দুর্গ নয়ে, দক্ষিণ দিকেও শ্রেণিবদ্ধভাবে কতকগুলি নোঁদুর্গ ছিল। তাহারই কথা এখন বলিৰ । উত্তর সীমায় যেমন শিবসা হইতে রায়গড় পৰ্য্যন্ত ৫৬টি দুর্গ ছিল, এবং