পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σδιν যশোহর-খুলনার ইতিহাস এই সকল স্থানে যেমন স্থল-যুদ্ধের উপাদানই প্রধানতঃ সজ্জীভূত থাকিত, দক্ষিণ দিকের মগ, ফিরিঙ্গি প্রভৃতি শত্রর জন্ত সেইরূপ ধুমঘাট হইতে মাতল৷ পৰ্য্যন্ত প্রকাও প্রকাও নদী-মোহানায় এক শ্রেণী দুর্গ ছিল, এবং সেই সকল দুর্গে জল যুদ্ধের জন্ত সুসজ্জিত রণ-তরী সমূহ সৰ্ব্বদা প্রস্তুত থাকিত। প্রথমোক্ত দুর্গশ্রেণীতে রসদাদি ও লোকজনের যাতায়াত জন্য যেরূপ উচ্চ মৃন্ময় গড় প্রস্তুত হইয়াছিল, দক্ষিণ দিকের দুর্গশ্রেণীর জন্তও সেইরূপ স্থানে স্থানে খনিত থাল দ্বারা নদীপথে যাতায়াতের জন্য সোজা পথ আবিষ্কৃত ও সুরক্ষিত হইয়াছিল। মানচিত্র হইতে ইহা সহজে বোধগম্য হইবে। কপোতাক্ষ দুর্গ হইতে দক্ষিণ দিকে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষী নদী মিশিয়৷ আড়পাঙ্গাসিয়া নাম ধারণ করে। আবার ধূমঘাটের নিম্নে ইছামতী নদী যমুনা হইতে বিমুক্ত হইয়া উক্ত পত্তনের পূৰ্ব্বসীমায় কদমতলী নাম ধারণ করে এবং পরে দক্ষিণদিকে আসিয়া মালঞ্চ হয় । বহু দক্ষিণে আসিয়৷ এই মালঞ্চ আবার আড়পাঙ্গাসিয়ার সহিত মিশিয়া সমুদ্রে পড়িয়াছে। ধূমঘাট পত্তনের দক্ষিণে মালঞ্চ ও আড়পাঙ্গাসিয়ার মধ্যে সামান্ত ব্যবধান ছিল । প্রতাপাদিত্যের সময়ে এক খনিত থাতের দ্বারা এই ব্যবধান বিলুপ্ত হয়। এই থাতের নাম “আড়াইবাকীর দোয়োনিয়া” * কারণ উহা মাত্র আড়াই বাক দীর্ঘ । আড়াইবাকীর নয়নাভিরাম মোহান হইতে একটু দক্ষিণে গেলে মালঞ্চ ও যমুনার মধ্যে সামান্ত বাবধান ছিল প্রতাপের পটুগীজ সেনাপতির ব্যবস্থায় আর একটি খনিত খাত দ্বার উভয়ের সংক্ষিপ্ত সংযোগ সাধিত হয় ; এই থাতকে এখনও “ফিরিঙ্গির দোয়ানিয়া” বলে। এই দোয়ানিয়ার মুখ হইতে যমুনা পথে একটি শাখানদী দিয়া রায়মঙ্গলে পড়িতে হয় ; + রায়মঙ্গল বাহিয়া আরও উত্তরদিকে আসিয়া বড় কলাগাছিয়া ও আঠারবাকী নদী দিয়া অবশেষে মাতলার কাছে বিদ্যাধরীতে মিশিতে হইত ; মাতলার নিকট সেই মোহানায় একটি দুর্গ ছিল। ইহাকে (৯) মাতলাদুগ S B DD B BBBB DD DD DDDB BDD BBBS BB BDDB BDDD BBB S অসংখ্য প্রশস্ত নদী থাকার জন্য স্বন্দরবনের অধিকাংশ খালই দোয়ালিয়া বা দ্বিমুখী। ১ম খণ্ডে মুঙ্গয় বনের বিষয়ণ শ্ৰষ্টব্য । । এই শাখ নদী এক্ষণে ১৭৬ নং লাটের দক্ষিণ দিয়া প্রবাহিত হইতেছে। কলিঙ্গী শাখাই নিয়ে জাসিয়া রায়মঙ্গলে মিশিয়া সমুঙ্গে পড়িয়াছে ।