পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వీeశి যশোহর-খুলনার ইতিহাস হইতে পাবেন, এই আশঙ্কায় শীঘ্র মন্দ রায়কে একশত কেশ নৌকা বা রণতরী লইয়৷ অগ্রসর হুইবার জন্ত আদেশ দিলেন । সন্দ্বীপ ছাড়িয়া আসিয়া কার্ভালো যখন ত্রিশখানি জীর্ণ তরী সংস্কারের জন্তু শ্রীপুরে অবস্থান করিতেছিলেন, তখনই মন্দ রায় আক্রমণ করিলেন। কেদার রায় উপস্থিত স্বকার্য্য উদ্ধারের জন্য কার্ভালোর অষাচিত সহায়তা পরিত্যাগ করা সমীচীন বোধ করিলেন না। র্তাহার যুদ্ধ-তরণ সমূহ কার্ভালোর সহিত যোগ দিল। শ্ৰীপুরের পথে কালীগঙ্গার মধ্যে মন্দ রায়ের সহিত ঘোরতর যুদ্ধ হইল। মন্দ রায়ও বীরপুরুষ বলিয়া খ্যাত ছিলেন। “কার্ভালে প্রচণ্ড বেগে বিপক্ষগণকে আক্রমণ করিয়া তাহাদের জাহাজ শ্রেণী ছিন্নভিন্ন করিয়া দেন এবং বহুসংখ্যক সৈন্ত শমন-সদনে প্রেরণ করেন। এই যুদ্ধে মন্দ রায়ও নিহত হন, তিনি গোলাদ্বারা আহত হইয়া জাহাজ চইতে নিপতিত হইয়াছিলেন । কার্ভালোও একটি তীর বিদ্ধ হইয়া আহত হন । কয়েকদিন পরে আরোগ্য লাভ করিয়া কার্ভালো শ্ৰীপুর হইতে গোলি বা গুলু (হগলী ) নামক পটুগীজ দিগের উপনিবেশে গমন করেন।” * এক্ষণে প্রশ্ন এই, কেদার রায় যে কার্ভালো দ্বারা এত উপকৃত হইলেন, র্তাহাকে তিনি সাহায্য দিলেন না কেন ? সাহায্য পাইলে বা পাইবার আশা থাকিলে কি কার্ভালো অনিশ্চিত সাহায্যের প্রত্যাশায় ছগলীর মত দূরবর্তী স্থানে ধাইতেন ? তখনও তাহার জীর্ণ তবণীগুলির সংস্কার কার্য্য সম্পূর্ণ হয় নাই। ইহার উত্তরে এই বলা যাইতে পারে যে, কেদার রায় প্রকাশ্যভাবে কার্ভালোকে আশ্রয় দিতে পারেন না, কারণ তাহ হইলে আরাকাণ রাজের সহিত র্তাহার মিত্রতা অক্ষুণ্ণ থাকে না। তখনও উভয় পক্ষের সন্ধি অব্যাহত ছিল। তবে মোগলেরা উভয়েরই সাধারণ শক্র, এজষ্ঠ মোগলের আ ক্রমণকালে কেদার, তাহার পূৰ্ব্বতন ভূত কার্ভালো স্বতঃ প্রবৃত্ত হইয় তাহাকে যে সাহায্য করিতেছিলেন, তাহা গ্রহণ না করিয়া পারেন না । বিশেষতঃ সন্দ্বীপের স্বত্ব লইয়া যখন মোগলের সহিত বিবাদ, সে সন্দ্বীপের সমস্ত স্বত্ব যখন কার্ভালোকে সমর্পিত হইয়াছিল, তখন মোগলশক্রর বিপক্ষে দণ্ডায়মান হইয়া যুদ্ধ করিতে কার্ভালো স্তাৱতঃ ধৰ্ম্মতঃ বাধ্য। তিনি তাহাই করিয়াছিলেন। যুদ্ধ জয়ের পর আবার কেদার রায় তাহার সম্বন্ধে নিরপেক্ষ রছিলেন । কারণ মোগলের এবার পরাজিত

  • নিধিজনাখ রায় কৃষ্ণ ডু-জারিকের গ্রন্থের জমূৰাদ, প্রতাপাদিত্য ৪se পৃঃ।