পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতারামের রাজ্যবিস্তার (to বারুদের আতস বাজী, শোলার খেলান ও ডাকের সাজ প্রস্তুত, করিয়া জীবন ধারণ করিতেছে । ’ . . . . . . . . . . . . সীতারাম জমিদারীর সময় হইতে দস্থ্য ডাকাইত দিগকে দেশাস্তরিত করিয়া শাস্তিসংস্থাপন করিয়াছিলেন । শাসনহীন দেশে স্বশাসন প্রবর্তিত করিয়. স্থায় বিচারকে করুণার্জ করিয়া, রাজা সীতারাম প্রজাবর্গের নিকট প্রিয়পাত্র হইয়া ছিলেন। র্তাহার শাসনতলে নিরাপদে স্বচ্ছন্দে বাস করিবাব আশায় পাশ্ববৰ্ত্তী জমিদারী হইতে প্রজাবৰ্গ দলে দলে তাহার এলেকায় আসিতেছিল তাহার লোকজনেরা উহাদিগকে যত্ন করিয়া চাষবাসের জমি দিয়া উপযুক্ত স্থানে বসতি করাইতেছিলেন। তখন দেশের কপাল পুড়ে নাই ; ম্যালেরিয়া রাক্ষসী মহম্মদপুরকে গ্রাস করিয়া বসে নাই। এক ধারে নবগঙ্গা ও অন্যদিকে মধুমতী উভয়ের স্বচ্ছস্নিগ্ধ মিষ্ট সলিলের কূলে বাস করা যে কি মুখের ছিল, তাহা কল্পনা করা যায় না। উত্তরাধিকারীর অভাবে বা অন্ত অসুবিধায় নিকটবৰ্ত্ত যে সকল জমিদারী বিশৃঙ্খল হইতেছিল, উহার তত্ত্বাবধানের ভার সহজে আসিয়া সীতারামের হাতে পড়িল। কঠোর শাসনের ফলে যে সব জমিদারীর প্রজার বিদ্রোহী হইয়া সীতারামকে জানাইল, তিনি সসৈন্তে গিয়া সহজে সে সকল স্থান অধিকার করিয়া বসিলেন। তিনি যে আবাদী সনন্দ পাইয়াছিলেন তাহাতে সুন্দরবন প্রদেশের বিশেষ কোন সীমা দেওয়া ছিল না ; নবাবীমুখৃহীত অন্ত কোন প্রবল জমিদারের সঙ্গে বিবাদ না করিয়া তিনি যতদূর পর্যন্ত রাজ্যবিন্সর করিতে পারেন, তাহার বাধা ছিল না। এইরূপ নানা কারণে তাছার জমিদারী দ্রুতবেগে বাড়িয়া যাইতে লাগিল। সকল ঘটনা সময়ানুক্রমে সংগ্ৰহ করিয়া দেওয়া সুকঠিন। আমরা সীতারামের রাজ্যবিস্তারের কথঞ্চিৎ আভাস দিবার জন্ত কয়েকটমাত্র অভিযানের উল্লেখ করিতেছি। সৰ্ব্বারম্ভে পশ্চিমদিকেই সীতারামের নজর পড়ে। নবগঙ্গার তীর পর্যন্ত তাহার অধিকৃত ছিল এবং বিনোদপুরে তাহার একটি আবাসগৃহ ছিল। সেই বিনোদপুনৰ অপর পাৰে সত্ৰাঞ্জিংপুর। আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, ভূষণার বিখ্যাত ভূঞা মুকুন্দরামের পুত্র সত্ৰাজিং এইস্থান প্রতিষ্ঠা করির বাস করেন। ঢাকায় র্তাহার প্রাণদণ্ডের পর (১৬৩৮) তাছার রাজবংশ নিম্প্রভ হয়। (৫২৯পূ:). BBBB DD DS DDD DDD DDDD BBBB BBBBS BBBBS SBBBBBS