পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতারামের ধৰ্ম্মপ্রাণত Ø ግJ) সম্মুখে কৃষ্ণ বিগ্রহের দোলোৎসবের জন্য যে মঞ্চ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহা এখনও মনুমেণ্টের মত দাড়াইয়া আছে। দেবভক্ত নৃপতি এই সকল বিগ্রহের প্রত্যেকের সেবা ও পর্বোৎসবের জন্ত রাজোচিত ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । প্রত্যেক বিগ্রহের জন্ত কয়েকখানি করিয়া গ্রাম দেবোত্তর দেওয়া ছিল । কানাইনগরের ব্যবস্থাই ছিল সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট, কারণ এখানে তিনি বৈষ্ণববৃন্দের একমাত্র আরাধ্যক্ষেত্র শ্ৰীবৃন্দাবনের কল্পনা করিয়াছিলেন । স্থানটির নাম রাখিলেন যদুপতিনগর বা কানাইনগর ; সেই স্থানেই কৃষ্ণ রাধার যুগল রূপ বর্তমান ; মন্দিরপ্রাঙ্গণে বহু অনুষ্ঠানে দিবারাত্র অষ্ট প্রহর সমভাবে হরিনামানুকীৰ্ত্তন হষ্টত। “কানাইবাটীর কীৰ্ত্তন” কিছুতেই থামিত না। • পূৰ্ব্বপার্শ্ববৰ্ত্তা প্রশস্ত অট্টালিকার দুইটি প্রকোষ্ঠে দুই দল কীৰ্ত্তনওয়ালা বেতনভোগী হইয় বাস করিত, একদল বিশ্রাম করিবার সময়ে অন্ত দল গান গাহিত। মন্দিরপ্রাঙ্গণ দিবানিশি ভক্তমণ্ডলীর প্রেমোচ্ছাসে কোলাহলময় থাকিত। প্রাচীন বৃন্দাবনে গোপগণের বসতি ছিল ; সীতারামের নববৃন্দাবনেও গোপগণের বসতি হইল । যে পাড়ায় তাহারা বাস করিত, তাহার নাম গোকুলনগর। এখনও সেখানে কয়েক ঘর গোপের বাস আছে। কানাইনগরের হরেকৃষ্ণ বিগ্রহের সেবক গোপ ব্যতীত আর কেহ হইতে পারিত না । কিছুদিন পূৰ্ব্বেও সেই নিয়ম চলিতেছিল। কানাইনগরের চতুঃপার্থে যে অন্ত সকল গ্রাম আছে, তাহাদের নাম খামনগর, রাধানগর, মথুরানগর প্রভৃতি। তথাকার বিগ্ৰহগণের বৃত্তিস্বরূপ যে তিনখানি গ্রাম উৎকৃষ্ট হয়, তাহাদের নাম হরেকৃষ্ণপুর, লক্ষ্মীপুর ও বলরামপুর। পূর্বে বলিয়াছি, এই হরেকৃষ্ণপুরেই অপূৰ্ব্ব জলাশয়, কৃষ্ণসাগর ; উহাই কালীয় হ্রদ বলিয়া কল্পিত হইত। কানাইনগর হইতে রাজদ্বর্গের রাস্ত পর্য্যন্ত যে এক মাইল দীর্ঘ বাহিরের পরিখার কথা বলিয়াছি, তাহাই ছিল যমুনা নদী। রাজপ্রাসাদে প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মীনারায়ণ শিলাকে রথোৎসবে ও অন্যান্ত পৰ্ব্বে উক্ত পরিথার তীরবর্তী প্রশস্ত পথে রণারোহণে লইয়া যাওয়া হইত, পরে তিনি সুন্দর ময়ুরপঙ্গী তরণীতে কল্পিত যমুনা পার হইয় 银 কথাট। দেশময় রাষ্ট্র হইয়া পড়িয়াছিল। এখনও লোকে যাহা কিছু একভাবে BBBBB BBB BBB BSBB BBB SBB BBB BBBBS BBBS BDDD DDDS