পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উকীল মুনিরাম রায় ♥Uፃ "শূন্ত চন্দ্র রস ইন্দেী কৃষ্ণচন্দ্রস্ত মন্দিরং। ইদং কৃতিমুনিরামে রামভদ্রস্ত নন্দনঃ ॥” * শূন্ত= ০, চন্দ্র =১, রস=৬, ইন্দু= ১ ; উণ্টাইয়া লইলে, ১৬১০ শক ধ ১৬৮৮ খৃষ্টাৰ হয় ( ৫২৪ পৃ: )। তাহ হইলে বুঝা যায়, মহম্মদপুর রাজধানী প্রতিষ্ঠার বহু পূৰ্ব্বে ধূলজুড়ীতে মুনিরামের দেবালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । মুনিরামের সহিত সাধারণ বন্ধুত্ব অপেক্ষা আরও ঘনিষ্ট সম্বন্ধ স্থাপন করিবার উদ্দেশ্বে রাজা সীতারাম তাহার কষ্ঠ বিবাহ করিতে চান। কিন্তু উচ্চকুলীন মুনিরাম সে প্রস্তাবে রাজি হন নাই। কথিত আছে, মুনিরামের পুত্র মৃত্যুঞ্জয় নাকি ভগিনীকে বিষ-প্রয়োগে হত্যা করিয়া জাতিকুল রক্ষা করেন ( ৫৭৬পুঃ ) । শেষ যুদ্ধে সীতারাম পরাজিত ও বন্দী হইয়া মুর্শিদাবাদে নীত হইলে, মুনিরাম সীতারামের জন্য বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং কয়েক লক্ষ টাকা দিলে সীতারাম কারাগৃহ হইতে নিষ্কৃতি পাইবেন, এমন কথা উঠিয়াছিল। কিন্তু তাহ কেন হইল না, কেন সীতারামের মৃত্যু ঘটিল, এসব বিষয় ঐতিহাসিকের সন্মুখে সম্পূর্ণ কুয়াসাচ্ছন্ন হইয়া রহিয়াছে। কেহ কেহ বলেন, সীতারাম তাহার কন্যা বিবাহের প্রস্তাব করিবার পর হইতে, মুনিরাম শক্ররূপে পরিণত হন ; এবং মুখ্যতঃ র্তাহারই চেষ্টায় সীতারামের শোচনীয় পরিণাম ঘটে । { কিন্তু ইহার কোন বিশেষ প্রমাণ নাই। সুতরাং রঘুনন্দনকে রেহাই দিয়া মুনিরামের উপর সকল আক্রোশ চাপাইবার কারণ দেখি না। মুনিরামের পুত্র মৃত্যুঞ্জয় পরম ধাৰ্ম্মিক ছিলেন ; রাণী ভবানীর শাসনকালে তিনি চাকূল ভূষণার নায়েব হন এবং প্রভূত সম্পত্তি অর্জন করেন। তিনিই ধূলজুড়ী ত্যাগ করিয়া কালীগঙ্গার তীরবর্তী স্বৰ্য্যকুণ্ড গ্রামে অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করেন ; তদবধি তদ্বংশীয়ের “ স্বৰ্য্যকুণ্ডের রায় ” নামে খ্যাত। মৃত্যুঞ্জয় নিজবাটতে শিব ও দশভূজার মন্দির স্থাপন করেন। মৃত্যুঞ্জয়ের কনিষ্ঠ পুত্র কাশীনাথ প্রবল প্রতাপশালী লোক ছিলেন। র্তাহার সময়ে “স্বৰ্য্যকুণ্ডের রায়গণের ” সম্পত্তির আয় ৩ হাজার টাকা দাড়ায়। কিন্তু কালের কঠোর গ্রাসে সৰ

  • মধুসূদন সরকারের সীতারাম প্রবন্ধ, নব্যভারত, ১২৯s, so 亨: { বন্ধুবাবুর রীতারাম" ১৬৭৬ পৃঃ