পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե8Ն যশোহর-খুলনার ইতিহাস ঐপাঠ আছে। পুরাতন কাহিনী সম্বন্ধে অনুমান করিবার কি কিছু নাই ? আধুনিক বারবাজারের সন্নিকটে সাকে বা সঙ্কট নামে স্থান ছিল ; কবিকঙ্কণে আছে, তথাকার সমৃদ্ধ বণিকেরা বহু বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করিতেন। কেষ্ট কেহ অনুমান করেন, লক্ষ্মণ সেন নবদ্বীপ হইতে পলায়ন করিয়া এই সঙ্কট বা সাকনাটে আসিয়াছিলেন, উহাই মুসলমান ঐতিহাসিকের লেখায় সাত নকলে জগন্নাথ হইয়া গিয়াছে। বারবাজার যে এক সময়ে একটি জনবহুল সমৃদ্ধ ছিল, তাহার পরিচয় পূৰ্ব্বে দিয়াছি (১ম খণ্ড, ১৮৩-৭ পৃ: ) সেখানেও কতকগুলি প্রস্তর ও স্তম্ভ পড়িয়া রহিয়াছে, উহা কোথা হইতে আসিল ? সম্প্রতি যশোহর সহরে চারিখানি পাথর আবিষ্কার করিয়াছি ; দুইখানি পুলিস সাহেবের বাড়ীর বাহিরে পড়িয়া আছে, একখানি কাৰ্ব্বালা ট্যাঙ্কের পাহাড়ের কোণে অৰ্দ্ধপ্রোথিত অবস্থায় সিম্পূর-চর্চিত ও দুগ্ধধৌত হইয়া পূজিত হইতেছে, অন্তখানি বগচর গ্রামে অশ্বিনী বাবুর বাড়ীর বাহিরে প্রাচীন জগন্নাথ মন্দিরের সন্নিকটে মৃত্তিক নিয়ে আবিষ্কৃত হইয়াছে। চারিখানিই রাজমহল অঞ্চলের কঠিন পাষাণ, প্রত্যেকখানি ১৫ ইঞ্চি বিস্তৃত এবং ৯৯.৯% পুরু, দৈর্ঘ্যও একখানির ৬-১১ ইঞ্চি, অপরগুলির প্রায় ৬ ফুট ; পুলিস সাহেবের বাড়ীর একখানি পাথরের মধ্যস্থলে চতুভূজ মঙ্গলকলস-হস্তী লক্ষ্মীমূৰ্ত্তি, অন্যথানিতে মধ্যস্থলে একটি অস্পষ্ট পুরুষ বা বিদ্যাধর মূৰ্ত্তি এবং বগচরের পাথরখানির নিম্নভাগে একটি মকরবাহন গঙ্গামূৰ্ত্তি দণ্ডায়মান। সব পাথরগুলিই আর্কিওলজিক্যাল বিভাগের সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট মহাশয়কে দেখাইয়া দিয়াছি, তিনি অনুমান করেন, প্রোথিত পাথরখানিতে একটি যমুনামূৰ্ত্তি থাকিতে পারে। মোট কথা, এই চারিখানি পাথর পরীক্ষা করিলে, উহা যে কোন একটি প্রাচীন বিষ্ণুমন্দিরের সদর দরজার চারি পার্থের চারিখানি ফ্রেম, সে অনুমান বোধ হয় অসঙ্গত হুইবে না। সম্ভবতঃ লক্ষ্মীমুৰ্ত্তিযুক্ত পাথরখানি উপরিভাগে ও পুলিস সাহেবের বাড়ীর অন্য পাখরখানি নিম্নদেশে, বগচরের পাথরখানি দক্ষিণভাগে এবং প্রোথিত পাখরখানি হয়তঃ বামভাগে ছিল। সে বিষ্ণু মন্দির কোথায় গেল ? সম্ভবতঃ মূৰ্ত্তিবিশিষ্ট বলিয়া চারিখানি পাথরই পরিত্যক্ত হইয়াছিল। মন্দিরের অন্ত পাথর যে বাগেরহাট প্রভৃতি স্থানে নীত হয় নাই, তাহ কে বলিতে পারে । প্রোথিত পাখরখানির সন্নিকটে খাঁ জাহানের অনুচর বহরাম