বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম Sసి দেহহীন আস্তররতিতে, তাহার তৃতীয় প্রকাশ আস্তররতি হইতে, যেখানে প্রেমিক ও প্রেমিক উভয়ই গৌণ, প্রেমই মুখ্য। “নসো রমণ ন হাম রমণী দুহুমন মনোভব পেশল জানি ॥” সমস্ত কামই আত্মকামনার ও স্বাত্মরতির আবৃত প্রকাশ মাত্র। সৰ্ব্বস্থান হইতে সৰ্ব্বকামনাকে সংগৃহীত করিয়া তাহাকে তাহার প্রেমস্বরূপের মধ্যে অনুভব করাই প্রেমসাধনার চরম কথা। এইজন্তই ভারতীয় প্রেমসাধনা আপনাকে সমাজের মধ্যে—রাষ্ট্রের মধ্যে—জগতের মধ্যে ব্যাপ্ত ও ফুট করিয়া তুলিতে পারে নাই। রবীন্দ্রনাথের “মানসী’তে নরনারীর প্রীতির মধ্যে যে অনন্তকালের এবং বিশ্বভুবনের প্রতি আপনাকে প্রকাশ করিয়াছে ইহা আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতসাহিত্যে দুল্লভ। এই প্রতি একটি প্রেমস্বরূপ আত্মার, একটি অনিৰ্ব্বচনীয় উপলব্ধির সার্থকতা নহে। ইহা যেন ভিতর হইতে বাহিরে, যুগল হইতে বিশ্বে, অদ্যকাল হইতে অনস্তকালে আপনাকে প্লাবিত করিয়া দিতেছে— “তোমারেই যেন ভালবাসিয়াছি শতরূপে শতবার জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার। চিরকাল ধ’রে মুগ্ধ হৃদয় গাথিয়াছে গীতহার ; কত রূপ ধ’রে পরেছ গলায় নিয়েছ সে উপহার, জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার। 亲 来源 举 আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে, অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে ।