বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিতা هي لا আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে, বিরহ-বিধুর নয়ন-সলিলে মিলন-মধুর লাজে । পুরাতন প্রেম নিত্য-নূতন সাজে।” আবার “অনাদি বিরহ বেদনা ভেদিয়া ফুটেছে প্রেমের সুখ যেমনি আজিকে দেখেছি তোমার মুখ! সে অসীম ব্যথা অসীম মুখের হৃদয়ে হৃদয়ে রহে, তাইত আমার মিলনের মাঝে নয়নে সলিল বহে । এ প্রেম আমার মুখ নহে, জুথ নহে ।” “সকল গান সকল প্রাণ তোমারে অামি করেছি দান, তোমারে ছেড়ে বিশ্বে মোর তিলেক নাহি ঠাই ।” রবীন্দ্রনাথের এই সমস্ত কবিতা পড়িলে মনে হয় যে যুগ-যুগান্ত ধরিয়া যত লোক ভালবাসিয়াছে, যত লোক প্রেমের শ্লোক গাথিয়াছে—বিরহমিলনের মধ্য দিয়া যত লোকের প্রেম সার্থক হইয়াছে—এখনও পৃথিবীতে চারিদিকে যত প্রীতির স্থখদুঃখ চলিয়াছে, সেই সমস্ত যেন তাহার প্রেমাম্পদের মধ্যে মিলিত হইয়াছে । তাহার প্রেমাম্পদের স্থান কেবল মাত্র অদ্যকারের তাহার প্রাণের মধ্যে নহে, কিন্তু নিত্যকালের সকল প্রাণের মধ্যে যে সকল প্রেমলীলা ফুটিয়া উঠিয়াছে, সেই সমস্ত যেন একত্র সঞ্চিত হইয়া কোন প্রাণের প্রীতির মধ্যে সেই সকলের প্রতীক স্বরূপ