বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ତo ब्रांङनांद्रांशू बश्र्द्र ग्रांशू-रुब्रिड् । করিয়াছিলেন যে সভাপতি মহাষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর উঠিয়া যাইতে বাধ্য হইয়াছিলেন, আমরা অনেক ধরে করে তঁহাকে আনিয়া পুনরায় সভাপতির আসনে বসাই। বিখ্যাত বাঙ্গালী খ্ৰীষ্টীয়ান রেভারেণ্ড লালবিহারী দে তদানীন্তন নিজ সম্পাদিত সম্বাদপত্রে ঐ বক্ততা সম্বন্ধে বলেন যে শ্ৰীহট্ট ও মেদিনীপুর হইতে আনীত চুণ দ্বারা হিন্দুধৰ্ম্মের কলি ফেরান হইতেছে। মেদিনীপুরে আমার অধিকদিন অবস্থিতির প্রতি কটাক্ষ করিয়া ঐ কথা লিখিয়াছিলেন। বিখ্যাত খ্ৰীষ্টীয় মিসনারী ডাক্তার মরে মিচেল উহার বিপক্ষে বক্ততা করেন, কিন্তু রেভারেণ্ড কৃষ্ণমােহন বন্দ্যোপাধ্যায় উক্ত বক্তৃতার প্রতি প্রতিকূলভাব না দেখাইয়া “হিন্দুধৰ্ম্ম৷ খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের পূর্ব সুচনা।” এই বিষয়ে একটি বক্তৃতা করিয়াছিলেন। কেশববাবু উক্ত বক্ততার বিপক্ষে কলিকাতায় দুইটী ও এলাহাবাদে একটী বক্ততা করেন এবং তঁহার বিখ্যাত চেলা ও এক্ষণে সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচারক পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীও একটি বক্ততা করেন। উক্ত বক্তৃতার বিপক্ষে কেশব বাবুর দলের ব্রাহ্মেরা বক্ততার পর বক্ততা ঝাড়িতে লাগিলেন এবং র্তাহাদিগের মুখপাত্র মিরার এমন দিন ছিলনা যে আমাকে গালাগালি না দিতেন। কেশব বাবুর দলের দুইজন ব্রাহ্ম মাত্র ঐ বক্তৃতার প্রতি অনুকূলভাব দেখাইয়াছিলেন। সেই দুইজন অবলাবান্ধব-সম্পাদক দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় ও আসাম মিহির-সম্পাদক যদুনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী। যদুনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী তখন আসাম প্রদেশে অবস্থিতি করিতেছিলেন। ঐ বক্ততা উর্দুতে অনুবাদ হইয়াছে ও উহার ইংরাজী অনুবাদ থিওসোফিষ্ট পত্রিকায় প্রায় নয় বৎসর হইল প্ৰকাশিত হইয়াছিল ( এক্ষণে ইং ১৮৮৯ সাল)। উক্ত বক্ততা লইয়া বিলাতেও কিয়ৎ পরিমাণে আন্দোলন হয়। তদানীন্তন ফ্রেণ্ড অব ইণ্ডিয়া পত্রিকা সম্পাদক জেমস রুটলেজ সাহেৰ ৰিলাতের বিখ্যাত টাইমস পত্রিকার সম্বাদদাতা ছিলেন। তিনি ঐ বক্তৃতার