পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २०१ ] স্বার্থপরতাই সংসারাশ্রমের আদি কারণ । পুত্র লাভের নিমিত্ত যখন সংসারাশ্রম অবলম্বন করিবার কথা, তখন ইহাকে স্বার্থশূন্ত ভাব বলা যায় না । পুত্র প্রাপ্তির অপর উদ্দেশ্য পিণ্ডাদি দ্বারা উদ্ধার হওয়া । এস্থানে স্বার্থের ভাব নাই, তাহা কে বলিতে চাহেন ? বৰ্ত্তমান কালেও পিতা মাতার এ প্রকার গৌণ স্বার্থ সত্ত্বেও নানাপ্রকার মুখ্য স্বার্থও সঞ্চারিত হইয়াছে, তাহা আমরা সকলেই জানি । সস্তানদিগকে বিদ্যা শিক্ষা দিয়া থাকি, স্বার্থের অনুরোধে বিবাহ দিয়া থাকি স্বার্থের অনুরোধে, আপন বশে রাখি স্বার্থের অনুরোধে । অনেকে এই কথায় বিরক্ত হইতে পারেন, এই কথা অনেকের নিতান্ত এতিকটু হইতে পারে, অনেকে আমাদিগকে সমাজের অনিষ্টকারী বলিয়া গঞ্জন দিতে পারেন, কিন্তু রামকৃষ্ণদেব যাহা স্বার্থপরতা বলিয়া কহিয়া গিয়াছেন, তাহা সত্য কথা । কারণ, বর্তমানকালে যে ভাবে সাংসারিক কার্য্য চলিতেছে, সে ভাবে আত্মকল্যাণ হইবার কোন সংশ্রব নাই । পিতা মাতা সস্তানকে যে শিক্ষা দেন, তদ্বার। আfথক সহায়তা হইতে পারে, দশজনের পরামর্শদাতা হইতে পারে, সামাজিক মান মৰ্য্যাদা হইতে পারে,পণ্ডিত বলিয়া সাধারণের সমক্ষে পরিগণিত হইতে পারে, ম্যাজি ষ্ট্রেট, জজ,উকীল, কোন্সিলী, মহারাণীর সভায় সভ্য হইতে পারে, গাড়ী জুড়ি চড়িতে পারে, দশজনাকে অন্ন দিতে পারে, অথবা সাধারণের উপ কারার্থে চণদা দিয়া সরকার বাহাদুরের দ্বারে রাজা, মহারাজা, রাজাধিরাজ প্রভূতি সন্মানসূচক উপাধি পাইতে পারে । পিতা মাতার যত্নে অপরীবিনিন্দিত কামিনী রত্ন লাভ হইতে পারে, তাহার সন্দেহ নাই ; কিন্তু ইহাকে কি আত্মকল্যাণ বলা যায় ? ন৷ আত্ম-অকল্যাণ কহ৷ যাইবে ? বাহ্যিক দর্শনে অবশ্যই কল্যাণ শব্দ প্রয়োগ করিতেই হইবে। কিন্তু স্থক্ষ্মে দেখিলে প্রাণ র্কাদিয়া উঠিবে । কোন সন্ত্রাস্ত উকীলের,