বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७8७ ] সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম প্রচারকদিগের এই প্রকার অভিনয় দর্শন করিরাও তাহাদের উল্লেখ বিচারপূর্বক নিন্দ না করিবার হেতু এই যে, যিনি যে ধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন, তিনি সেই ধৰ্ম্মের ভাবে আপনাকে সংগঠিত করিয়া ফেলেন । র্তাহার মন, বুদ্ধি, বিচার, কল্পনা সেই ভাবানুযায়ী পরিচালিত হইয়া থাকে। তিনি আপন ভাবের মধুরতা প্রাণে প্রাণে সম্ভোগ করেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। এই অবস্থায় অন্যের ভাবের সহিত তুলনা করিতে যাইলে পরস্পর অনৈক্যত দৃষ্টি হয়, সুতরাং, তাহাকে আপন ভাবে পরিবর্তিত করিয়। সুখী করিবার নিমিত্ত প্রাণপণে চেষ্টা করিয়া থাকেন। খ্ৰীষ্টান মিশনারীরা যে বহুল অর্থব্যয়ে ও শারীরিক এবং মানসিক ক্লেশ স্বীকারপূর্বক দেশবিদেশে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচার করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তাহাদের উদ্দেশু কি ? তাহার প্রাণে প্রাণে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের রসাস্বাদনপূৰ্ব্বক সেই রসে পৃথিবীর সমুদয় নরনারীকে অতিষিক্ত করিয়া সুখের পারাবার সৃষ্টি করিবার প্রয়াস পাইতেছেন । এই রূপে ধৰ্ম্ম সম্প্রদায় লইয়া বিচার পূর্বক তাহাদের উদ্দেশ্বের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে কাহাকেই দোষারোপ করা যায় না। তাহার। যে কেবল অন্যের ধৰ্ম্ম নষ্ট করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হন, একথা কখনই বিশ্বাস করা যায় না । এই স্থানে জিজ্ঞাস্ত হইবে যে, যদ্যপি ধৰ্ম্মবিশেষের ধৰ্ম্মবিশেষ বিলুপ্ত করিবার উদ্দেশ্য না হয়, তাহা হইলে ধৰ্ম্মের গ্লানি, ধৰ্ম্মের অসারতা, ধৰ্ম্মের বিবিধ প্রকার ভ্রম বাহির করিয়া দিয়া পরস্পর নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করিতেছেন কেন ? আমি বলিয়াছি যে, ধৰ্ম্ম প্রচারের উদ্দেশ্য বুঝিয়া দেখিলে তাহাতে কখনই দোষারোপ করা যায় না । কারণ উদ্দশ্যেই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম সকলের কল্যণকর বিধেয় । কল্যাণকর কাৰ্য্যে যাহারা লিপ্ত করিতে চাহেন, তাহারা কি সাধুবাদের পাত্র নহেন ? *