বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭8૧ ] মনুষ্যস্বভাব লইয়া যদ্যপি স্থিরভাবে বিচার করা যায়, তাহ হইলে যে কথা কথিত হইল, সে কথায় মতান্তর করিবার কাহারও অধিকার থাকে না। মনুষ্যস্ব ভাব চায় কি ? মনুষ্যস্বভাব কিসের জন্য লালায়িত হইয়া বেড়ায় ? মনের সমতা সংস্থাপন করাই একমাত্র উদ্দেশ্য । o মনের সমতা লাভ করা কাহাকে বলে ? এই প্রসঙ্গ লইয়া কিঞ্চিৎ আলোচনা করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য । আমাদের যখন যে বিষয়ের অভাব হয়, সেই বিষয়টা পূর্ণ করিবার নিমিত্ত মন ধাবিত হয় এবং যে পৰ্য্যন্ত তাহা সম্পূর্ণ না হয়, সে পর্য্যন্ত উহা কোন ক্রমে স্থির হইতে পারে না । মনুষ্যমাত্রেই যেমন কতিপয় পদার্থ দ্বারা সংগঠিত হয়, যথা অহি, শোণিত, মেদ, মাংস ইত্যাদি, মানসিক বৃত্তিগুলি সম্বন্ধেও তেমনি সকলের সম অধিকার আছে । ইহা সকল মনুষ্যেরই সাধারণ সম্পত্তি । অর্থাৎ কাম ক্রোধাদি বৃত্তি মনুষ্যের কোথাও থাকে, কোথাও থাকে না, এ প্রকার ঘটনা বিশ্বপতির ব্রহ্মাণ্ডে একেবারেই অপ্রতুল। দয়াদক্ষিণ্যাদি বৃত্তিগুলিও সৰ্ব্বপ্রকার মনুষ্যে এক ভাবের পরিচয় দেয়। শ্রদ্ধাভক্তিও তদ্রুপ । ফলে, একজন ব্যক্তিতে স্থলেই হউক, কিম্বা ইন্মেই হউক, অথবা কারণ ও মহাকারণেই হউক, যাহা আছে, ব্ৰহ্মাওস্থিত সমুদয় মনুষ্যে তাহাই আছে ; কোথাও ইহার বিন্দুবিসর্গ প্রভেদ হইতে পারে না । এমন মনুষ্য কি কেহ দেখিয়াছেন, যাহার দেহে শোণিতের পরিবর্তে জল কিম্বা তৈল অথবা দুগ্ধ কাৰ্য্য করিতেছে ? মায়ুমণ্ডলীর কার্য্য কি ব্যক্তিবিশেষে সুতার দ্বারা নিৰ্ব্বাহ হয় ? কখন নহে । ক্ষুধায় আহার এবং পিপাসায় জলপান করা মনুষ্যদিগের সাধারণ ধৰ্ম্ম । এ ধৰ্ম্মের কি ব্যতিক্রম কোথাও হয় ? এই নিমিত্ত