পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামেন্দ্রমুন্দর রচনাসমগ্র "לכ\ পাপ একেবারে ধুইয়া গেল। ইহা নিজয়ের ব্যাপার। মাহুষ আপনাকে অর্পণ করিতে পারিল না ; ঈশ্বর স্বয়ং মানুষ হইয়া নিষ্ক্রয়স্বরূপ মানবজাতির প্রতিভূৰূপে আত্মোৎসর্গ <of Cəfa ; &#.\;si 5fşofi «ffq füt## 1 #zi z#zi vicarious sacrifice. Ÿzı এক মহাযজ্ঞ । এই এক মাত্র যজ্ঞে মানুষের পাপ মোচন হইয়া গেল । আর কোনও যজ্ঞের আবশ্ব্যকতা থাকিল না ; জেহোবার মন্দিরে আর পশুবলিরও আবশ্বাকতা থাকিল না । বেদপন্থী সমাজে নরযজ্ঞ প্রচলিত ছিল না ; তবে নরষজ্ঞের স্মৃতি বোধ করি তখনও বিলুপ্ত হয় নাই। একের বদলে অন্যকে নিষ্ক্রয়স্বরূপে অৰ্পণ করা যাইতে পারে, ঐতরেয় ব্রাহ্মণ আখ্যায়িকা দ্বারা তাহা বুঝাইতেছেন। ঐতরেয় ব্রাহ্মণ বলিতেছেন, পুরাকালে দেবগণ মনুষ্যকে পশুরূপে আলস্তন অর্থাৎ যজ্ঞার্থ বধ করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন । সেই মনুষ্য হইতে যজ্ঞভাগ পলায়ন করিল এবং অশ্বে প্রবেশ করিল। অশ্ব তখন মেধ্য হইল । মেধ্য শব্দের অর্থ যজ্ঞযোগ্য, দেবতাকে অপণযোগ্য । যজ্ঞভাগ কর্তৃক পরিত্যক্ত হইলে সেই মনুষ্যকে দেবতার। বর্জন করিলেন ; সেই মনুষ্য তখন কিম্প রুষ হইল। দেবতারা অশ্বের অালম্ভনে উদ্যত হইলেন। সেই অশ্ব হইতে যজ্ঞভাগ পলায়ন করিল, এবং গরুতে প্রবেশ করিল ; তদবধি গরু মেধ্য হইল। যজ্ঞভাগ কর্তৃক পরিত্যক্ত অশ্বকে দেবতারা বর্জন করিলেন ; অশ্ব তখন গৌর মৃগ হইল। দেবতারা গরুর আলস্তনে উদ্যত হইলেন। গরু হইতে যজ্ঞভাগ পলায়ন করিয়া মেষে প্রবেশ করিল ; তদবধি মেষ মেধ্য হইল । যজ্ঞভাগ কত্ত্বক পরিত্যক্ত গরুকে দেবতারা বর্জন করিলেন ; সে গরু গবয় হইল । দেবতারা মেষের অালম্ভনে উদ্যত হইলেন । সেই মেষ হইতে যজ্ঞভাগ পলায়ন করিল এবং ছাগে প্রবেশ করিল। সেই ছাগ মেধ্য হইল। যজ্ঞভাগ কর্তৃক পরিত্যক্ত মেষকে দেবতারা বর্জন করিলেন ; সেই মেষ উষ্ট্র হইল যজ্ঞভাগ সেই ছাগে বহু কাল ধরিয়া অবস্থিত ছিল । সেই জন্য পশুমধ্যে ছাগ, পশু-যজ্ঞার্থ শ্রেষ্ঠ । দেবতার ছাগের আলস্তনে উদ্যত হইলেন । সেই ছাগ হইতে যজ্ঞভাগ পলায়ন করিল এবং পৃথিবীতে প্রবেশ করিল। তদবধি পৃথিবীই মেধ্য হইল। যজ্ঞভাগ কর্তৃক পরিত্যক্ত ছাগকে দেবগণ বর্জন করিলেন ; সে শরভ হইল। যজ্ঞভাগ কর্তৃক পরিত্যক্ত হওয়ায় এই সকল পশু আমেধ্য অর্থাৎ যজ্ঞের অনুপযুক্ত। ইহাদের মাংস ভোজন করিবে না । দেবতারা পৃথিবীতে প্রবিষ্ট যজ্ঞভাগের অনুগমন করিয়াছিলেন । তখন সেই যজ্ঞভাগ ব্রীহি ধান্য হইল। সেই জন্য ব্রীহি ধান্য হইতে প্রস্তুত পুরোডাশ দান করা হয় । ইহাতে পশুদানেরই ফল পাওয়া যায়। শতপথ ব্রাহ্মণের মধ্যেও এই আখ্যায়িক প্রায় এই আকারেই আছে । এই আখ্যায়িকার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে চেষ্ট করুন। ইঠিযাগে—এমন কি, পশুযাগে এবং সোমযাগেও পুরোডাশ আহুতি দেওয়া হয়। অধিকাংশ বৈদিক যজ্ঞেই পুরোডাশ আহুতির প্রথা চলিত হইয়াছিল। পশুমাংসের আহুতি ক্রমশঃ অপ্রচলিত হইতেছিল। পূর্ণমাসাদি ইউযাগে পশুমাংশ একবারেই আবশ্বক হইত না। পশুষাগে বা সোমর্যাগে পুরোডাশও ছিল ; পশুও একেবারে বর্জিত হয় নাই। কিন্তু