পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ురిసిన్క్ রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র চেষ্টাশক্তি পরিচালিত হয়। অনুরক্তভাবে সন্ধান করিয়া দেখিতে হইবে । কোথায় কোন ক্ষত আছে, কোথায় কোন ব্ৰণ আছে, তাহারও অনুসন্ধান চাই, কিন্তু বৃত্তিগ্রাহী মমত্বহীন সার্জনের অঙ্গসন্ধানে চলিবে না, অন্তরঙ্গ আত্মীয়ের মত সকরুণ সপ্রেম অনুসন্ধান আবশ্যক। তাহীর পব সেই সমাজ-শরীরের ভ্রুণাবস্থা হইতে শৈশব, শৈশব হইতে যৌবন, যৌবন হইতে প্রৌঢ়দশা, সমস্তেরই আন্তপূর্বিবক ধাববাহিকভাবে তন্ন তন্ন করিয়া তত্ত্ব লইতে হইবে । সমাজের প্রাচীন ইতিহাস যথাসাধ্য তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিতে হইবে। তবেই সেই সমাজেব প্রতি শ্রদ্ধা জন্মিবে শ্রদ্ধা ভক্তিতে, ভক্তি প্রেমে ও প্রেম শেষ পর্য্যন্ত মহাভাবে পরিণত হইবে । সমাজেব র্যাহার নেতা, যাহারা শিক্ষিত, র্যাহার। জ্ঞানী, যাহারা চিন্তাপটু, তাহার। সেই মহাভাবেৰ উদ্বোধন করিবেন ও সেই মহাভাবকে শিরায় শিবায় সঞ্চালিত ও স্বায়ুতে স্বায়ুতে প্রবাহিত কপিয়া দিবেন। সেই মহাভাবেব স্মৃত্তিলাভে সমাজ-শরীর কণ্টকিত হইবে, ধমনীতে বক্তপ্রবাহ বেগে ছুটিবে, হৃৎপিণ্ড মুহুর্মুহু: স্পদিত হইতে থাকিবে। নবজীবনসঞ্চাবের হর্যোদগত অশ্রুপ্রবাহে বন্যা আসিবে ; সেই বন্যাস্রোতে বিঘ্ন বিপত্তি কোন অকূলে ভাসিয়া যাইবে । ইহার আমাদেব সামাজিক ব্যাধিব চিকিৎসা, ইহাই আমাদের সকল রোগের এক মাত্র প্রতিকার। ( সাহিতা', আশ্বিন-কাত্তিক, ১৩০৬ )। অরণ্যে রোদন এই উপস্থিত সভ্যমণ্ডলীকে যদি অরণ্যের সহিত উপমিত করি, তাহা হইলে সভ্যমণ্ডলীব প্রতি এব’ সভার আঙ্গবানকৰ্ত্ত। চৈতন্য লাইব্রেবীর অধ্যক্ষগণেব প্রতি নিতান্ত অবিচার করা হয় সত্য, কিন্তু আমাদেব এই রোধন যে নিতান্তই অরণ্যে রোদনের হ্যায় নিষ্ফল, সে বিষয়ে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি সন্দেহ কবিবেন না। তবে এই নিস্ফল পবিশ্রমে কাজ কি, বলিয়। কেহ যদি প্রবন্ধপাঠককে এইখানেই নিরস্ত হইতে বলেন, তাহ হইলে তদুস্তবে বলা যাইতে পারে, বিন। রোদনে এই পাঙ্গালী-জীবন অতিবাহন করা যাইবে কিরূপে ? আমাদেব এই সমগ্র শিক্ষিত সমাজ যদি আজ সহস প্রতিজ্ঞ করিয়া বসেন যে, কিছুতেই আমর! আব কঁাদিব না, তাহা হইলে তাহাদের জীবনে অব কৰ্ত্তব্য কি অবশিষ্ট থাকে, খুঁজিয়া মেলা দুর্ঘট হইয়া উঠে। নিতান্তই অন্য কৰ্ম্মের অভাবে আমবা এ৩ দিন ধরিয়া বাল্যক।-- নষ্টার মহাশয়ের বেত্ৰগৌরবের ও যৌবনে আপিসেব কৰ্ত্তার উপানং গৌরবের উপলব্ধি করিয়া আসিতেছিলাম , কেন করিতেছিলাম, তাহ নিজেও ঠিক জানিতাম না, অন্যে জিজ্ঞাসা করিলেও উত্তর দিতে পারিতাম না ; আমাদের রাজপুরুষেরা আমাদের এত দিনের সেই প্রিবিলেজটা, সেই অধিকারট। কাডিয়া লইতে উপস্থিত হইয়াছেন, ইহাতেও ধদি একবার রোদন না করি, তাহা হইলে রোদনক্ষমতাই বা বিধাতা আমাদিগকে দিয়াছেন কিসের জন্য ? এইরূপে উদেখা সমর্থনের পর কৰ্ত্তব্য সাধনে প্রবৃত্ত হওয়া যাইতে পারে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার লইয়া যে কোলাহল সম্প্রতি উপস্থিত হইয়াছে,