পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮e ' লালন শাস্তু ও লালন-গীতিক। যে আশাতে আমার ভাবে আসা হল অসার ভাবি যে জনম ফুরালো, পূর্বে যে স্ন কীতি ছিল পেলাম সেই ফল না জানি কি আর হবে রে শেষে । অামি গুণে দেখি দেওয়াহয়ে যায় যে কুয়া” আমার হল তেমনি সকল কর্ম ভূয়া ; কারে বলব এ সব কথা কে ঘুচাবে ব্যথা মন-আগুনে মন দগ্ধ হতেছে । এ ভুবনে বিধি বড় বল ধরে, কর্ম-ফাসে বেঁধে মারিল আমারে, কেঁদে লালন ফকীর সদায়, দিচ্ছে গুরুর দোহাই আর যেন আসি নে এমন দেশে । ૨ ૦૪ ষড় রসিক বিনে, কেবা তারে চেনে যার নাম অধরা । শাক্ত শক্তি বুঝে সে রূপে যে মজে বৈষ্ণবের বিষ্ণুরূপ নেহারা । ১. দেওয়া মানে ‘মেঘ’—যশোর-খুলনার আঞ্চলিক শব্দ । ২. কুয়া মানে ‘কুয়াসা’—যশোর-খুলনার আঞ্চলিক শব্দ ।