পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
১০৫

করিয়া উহার জননীকে মনে পড়িয়াছে। উহার জননীর নাম শকুন্তলা।

 সমুদায় শ্রবণ করিয়া রাজা মনে মনে কহিতে লাগিলেন ইহার জননীরও নাম শকুন্তলা। কি আশ্চর্য! উত্তরোত্তর সকল কথাই আমার বিষয়ে খাটিতেছে। এই সকল শুনিয়া আমার আশাই বা না জন্মিবে কেন। অথবা, আমি মৃগতৃষ্ণিকায় ভ্রান্ত হইয়া নামসাদৃশ্য শ্রবণে মনে মনে বৃথা আন্দোলন করিতেছি। এরূপ নামসাদৃশ্য শত শত ঘটিতে পারে।

 শকুন্তলা অনেক ক্ষণ অবধি পুত্রকে দেখেন নাই, এই নিমিত্ত সাতিশয় উৎকণ্ঠিতা হইয়া, অন্বেষণ করিতে করিতে সহসা সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন। রাজা, বিরহকৃশা মলিনবেশা শকুন্তলাকে সহসা সেই স্থানে উপস্থিত দেখিয়া, বিস্ময়াপন্ন হইয়া এক দৃষ্টিতে তাঁহার দিকে চাহিয়া রহিলেন; নয়নযুগল জলধারা বহিতে লাগিল। বাকৃশক্তিরহিত হইয়া দণ্ডায়মান রহিলেন; একটীও কথা কহিতে পারিলেন না। শকুন্তলাও অকস্মাৎ রাজাকে দেখিয়া, স্বপ্নদর্শনবৎ বোধ করিয়া, স্থির নয়নে তাঁহার দিকে চাহিয়া রহিলেন; নয়নযুগল বাষ্পবারিতে পরিপূর্ণ হইয়া আসিল। বালক, শকুন্তলাকে দেখিবামাত্র, মা মা

১৪