পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৬১

করিয়াছিলাম; এখন আমি চলিলাম; অতঃপর তাত কণ্ব তোমার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এই বলিয়া রোদন করিতে করিতে চলিলেন। তখন কণ্ব কহিলেন বৎসে শান্ত হও, অশ্রুবেগ সংবরণ কর, পথ দেখিয়া চল, উচ্চ নীচ না দেখিয়া পদক্ষেপ করাতে বারংবার আঘাত লাগিতেছে।

 এইৰূপ নানা কারণে গমনের বিলম্ব দেখিয়া শার্ঙ্গরব কণ্বকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন ভগবন্! আপনকার আর অধিক দূর সঙ্গে আসিবার আবশ্যক নাই; এই স্থলেই যাহা বলিতে হয় বলিয়া দিয়া প্রতিগমন করুন। কণ্ব কহিলেন তবে আইস এই ক্ষীরবৃক্ষের ছায়ায় দণ্ডায়মান হই। অনন্তর সকলে সন্নিহিত ক্ষীরপাদপচ্ছায়ায় অবস্থিত হইলে কণ্ব কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করিয়া শার্ঙ্গরবকে কহিলেন বৎস! তুমি, শকুন্তলাকে সম্মুখে রাখিয়া, রাজাকে, আমার নাম গ্রহণ করিয়া, কহিবে “আমরা বনবাসী তপস্যায় কাল যাপন করি; তুমি অতি প্রধান বংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছ, এবং বন্ধুবর্গের অগোচরে স্বেচ্ছাক্রমে শকুন্তলাতে স্নেহ প্রদর্শন করিয়াছ; এই সমস্ত বিবেচনা করিয়া অন্যান্য সহধর্ম্মিণীর ন্যায় শকুন্তলাতেও স্নেহ দৃষ্টি রাখিবে। আমাদের এই পর্য্যন্ত প্রার্থনা। ইহার