পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 9 শিক্ষক । তদন্নবর্তী হইতে পারে। মন্ত্রণ শেষ হইলেও, কি করা মনে গত । হইল তাহ ব্যক্ত করিবে না। সকলের অভিমত বিজ্ঞাত হইয়া, যাই। ন্যায় সঙ্গত ও উপযোগী তাহ স্বকপোল বিনিশ্চত অনুজ্ঞার ন্যায় প্রচার করিবে—কেহই যেন জানিতে না পায় যে সেট অন্যের মত। কোন কার্যের পরামর্শ গ্রহণ করিতে হইলে, যেমন সকল মন্ত্রীকে সমবেত করিয়া অভিমত জিজ্ঞাসা করা কৰ্ত্তব্য, তদ্রুপ প্রত্যেককে স্বতন্ত্র করিয়া তাছার স্বাভিপ্রায় জানিতে হইবে ; কেননা, সভাপেক্ষ নির্জনে মমৃষ্যের মানসিক ভাব উত্তমরূপে প্রকাশিত হয়। এইরূপে, বিবেচন। মত সকলের স্বাতন্ত্র্য অভিপ্রায় গ্রহণ করা প্রয়োজনীয় ; কিন্তু কেছ যেন জানিতে ন পারে যে তদ্ব্যতীত অন্য ব্যক্তি পৃথক রূপে জিজ্ঞাসিত হইয়াছে; বরং ঈদৃশ ভাবভঙ্গি করিতে হইবে যে, তাহার মন্ত্রণাই মূল্যবান বলিয়া বিবেচ্য হয়, এই তাহার মনে বিশ্বাস জন্মে। অনেক কাৰ্য আছে যাহার গুৰুত্ব বিধায় ক্ষণিক পর্যালোচনায় কিং কৰ্ত্তব্য স্থিরীভূত হয়না। এবম্বিধ কার্ঘ্যে সহসা মত স্থির না করিয়া, বিবেচনার জন্য অমাত্যদিগকে সময় দিতে হইবে । যখন মন্ত্রিগণ আবশ্বক অবকাশান্তে স্ব স্ব অভিমত স্থিরীকৃত করিয়া মন্ত্রণাগারে আগমন করে, তখন প্রত্যেকের অভিপ্রায় বাকৃবিতণ্ড দ্বার। উত্তমরূপে বিবৃত করিয়া দোষগুণ অবলোকনান্তে যাহা সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট তাহাই অবলম্বন কর। বিহিত। বিপক্ষ না হইলে মতের দোষগুণ উপলব্ধি হয় না ; অতএব যে কেহ একটা মত ব্যক্ত কি পরামর্শ প্রদান করে, তাছার বিপক্ষে যতদূর ন্যায়ানুগত তর্ক হইতে পারে, তাহ করা আবশুক। ঈদৃশ দুর্দমনীয় তীক্ষ্ণ স্বভাব থাকিলে কাহারে দ্বারা প্রতারিত হইবার সম্ভাবনা থাকে না। অতীব বিশ্বস্ত ব্যক্তির বাক্যকেও নিঃসন্দিহান চিত্তে স্বতঃসিদ্ধের ন্যায় গ্রহণ করিবে না। দূরদর্শি যোদ্ধার দৃঢ়াগলিত শয়ানাগারেও আত্মরক্ষার নিমিত্ত অসি ও বর্ঘ রাথিয় থাকেন। সংক্ষিপ্তে, উত্তমরূপ হৃদয়ঙ্গম না করিয়া কোনকার্ষ্যে প্রবৃত্ত হওয়া নিষিদ্ধ ।