বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। 建》 তৃতীয় পরিচ্ছেদ । অধীনের প্রতি ব্যবহার। বৃত্তিজীবীদিগকে পদাম্বরূপ বেতন প্রদান না করিলে, স্বভাবতঃ কৃত্রিমতা এবং উৎকোচের পথ আবিষ্কৃত হয়। ইহাতে কেবল যে প্রজা প্ৰপীড়িত হয়, এমত নহে, ভূম্যধিকারীরও ভূয়িষ্ঠ অনিষ্ট হইয়। থাকে। প্রজাগণ কর প্রদান, টাকা কর্জ, ও দেন। শোধ করিতে আসিলে আমলগণ তাহাদিগের নিকট হইতে কিছু না কিছু লয় ; না দিলে কিছুতেই তাহাদিগের কার্য মুসিদ্ধ হয় না। এমন কি শ্রমজীবীদিগের পরিশ্রমিক হইতেও কৰ্ম্মচারীর কৰ্ত্তন করে । এই দুরাচারের কারণ তাহাদিগের অল্প বেতন এবং ভূম্যধিকারীর অমনোযোগিতা। জমিদারের কৰ্ম্মচারীদিগকে এত অলপ বেতন দেন যে তস্থার একজন যৎসামান্য কৃষকেরও জীবিকা নিৰ্ব্বাহ হয় না । যাহাদিগের উপর জমিদারীর সমস্ত ভার, তাহাদিগের বেতন প্রায়তঃ ১০১৫ টাকার অতিরিক্ত নহে। বেতনের এই শোচনীয় নূনতা নিবন্ধন বৃত্তিজীবীরা অসৎ পথাবলম্বন করিতে বাধ্য হয় ; কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে এটা তাহারা গোপনে করে না, প্ৰভু তাহা বিলক্ষণ জানিতে পারেন, অথবা জানিয়া শুনিয়াই অলপ বেতনে নিযুক্ত করেন ; নতুবা “ হিসাব আন৷ ”, “ দস্তুরি ” প্রভৃতি শত শত পীড়নের যন্ত্র, আইন তুল্য প্রচলিত কেন ? সম্ভবতঃ ব্যয়ের লাঘবতা প্রতিপাদন করা এই কুপ্রথার মুল কারণ ; অথবা ভূম্যধিকারীরা বিবেচনা করেন যে মনুষ্য স্বভাব আর নরক, তুল্য পদার্থ কিছুতেই সৎপথগামী নহে? কিন্তু ঈদৃশ অমানুষ অভিসন্ধি আমরা জমিদারদিগের প্রতি আরোপ করিতে সাহসী হই না। যদিও তাহাদিগের মধ্যে অনেকে অকৃতবিদ্য, তথাচ তাহারা মনুষ্য ভিন্ন আর কিছু নহে। এবং বোধ হয় ঈদৃশ ব্যক্তি অদ্যপি অবতীর্ণ হয় নাই ষে মনুষ্য হইয়। মমৃষ্যের স্বভাব সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। সুতরাং প্রথম নির্দিষ্ট কারণকেই । বেতনের মুনতার হেতু বলিয়া নির্দেশ করিতে হইল। যদি বাস্তবিক