পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| উপসংহার। ১৭১ জড়জগতের বিষয় সকল যুক্তিবৃত্তির অধীন, কিন্তু আত্মা স্বীয় দর্শনবৃত্তি ব্যতীত কোন বৃত্তি দ্বারা লক্ষিত হন না । যুক্তি সৎপথ অবলম্বন করিলে আত্ম বিষয়ে স্বীয় অক্ষমতা শীঘ্রই বুঝিতে পারে। আত্মা জ্ঞানস্বরূপ, অতএব স্বপ্রকাশ ও জড়ের প্রকাশক ; কিন্তু জড়জাত যুক্তিবৃত্তি কখনই আত্মাকে প্রকাশ করিতে পারে না। অতএব আমরা যুক্তিবাদীদিগের জড়সিদ্ধান্তে বাধ্য না হইয়া আত্মদর্শনবৃত্তি দ্বারা আত্মা ও পরমাত্মার দর্শন ও বিচার করিব এবং আত্মা ও জড়ের মধ্যগত ক্ষণিক যুক্তিযন্ত্রযোগে জড়জগতের তত্ত্বসংখ্যা করিব। আত্মা, পরমাত্মা ও জড় এই তিনটী বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন বিচার করা আবশ্বক। শ্ৰীমদ্রামানুজাচার্য্য চিৎ, অচিৎ ও ঈশ্বর এই তিন নামে উক্ত ত্রিতত্ত্বের বিশেষ বিচার করিয়াছেন । সম্বন্ধ বিচারে ত্রিতত্ত্বের বিচার ও সম্বন্ধ নির্ণয় করাই প্রয়োজন। সাংখ্যলেখক কপিলাচাৰ্য্য প্রকৃতির চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্বের সংখ্যা করিয়াছেন। জড় বা অচিত্তত্ত্বের বিচার করিতে হইলে কপিলের তত্ত্বসংখ্যা বিচাৰ্য্য হইয়া উঠে। আধুনিক জড়তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা অনেক যত্নসহকারে নবাবিষ্কৃত যন্ত্র সকল দ্বারা মূলভূত সকলের নাম, ধৰ্ম্ম ও রাসায়নিক প্রবৃত্তি সকল বিশেষরূপে আবিষ্কার করত জনগণের প্রাকৃত জ্ঞান সমৃদ্ধি করিয়াছেন ও করিতেছেন । র্তাহীদের আবিষ্কৃত বিষয় সকল বিশেষ আদরণীয়, যেহেতু তাহারা অর্থরুপে, আবিষ্কৃত হইয়া জীবের চরমগতিরূপ পরমার্থের উপকার করিতেছে। ফলতঃ সমুদায় আবিষ্কত