বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'సి' শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । ইহার ভূরি ভূরি প্রমাণ পাওয়া যায়। যে সময় হইতে অন্ধপরম্পর নাম-মাত্র-সংস্কার আরম্ভ হইয়াছে, সেই সময় হইতে উপযুক্ত ব্যক্তি উপযুক্ত কাৰ্য্য না পাওয়ায় আর্য্যযশসূৰ্য্য অস্তপ্রায় হইয়াছে। শ্ৰীমদ্ভাগবতে দশমস্বন্ধে ধৰ্ম্মশাস্ত্র ব্যাখ্যায় নারদ বলিয়াছেন ;– যস্ত যন্ত্রক্ষণং প্রোক্তং পুংসোবর্ণাদিব্যঞ্জকং । যদন্তাত্রাপি দৃশ্বেত তত্তেনৈব বিনির্দিশেৎ ॥ পুরুষের বর্ণাদি ব্যঞ্জক যে লক্ষণ কথিত হইয়াছে ঐ লক্ষণ অন্যবর্ণজাত সন্তানে দৃষ্ট হইলে তাহাকে সেই লক্ষণানুসারে তদ্বর্ণে নির্দেশ করিবেন, অর্থাৎ কেবল জন্ম দ্বারা বর্ণ নিরূপিত হইবে না। প্রাচীন ঋষিগণ স্বপ্নেও জানিতেন না, যে স্বভাবজ ধৰ্ম্মট ক্রমশঃ বংশজ হইয়া উঠিবে। মহৎ লোকের সন্তান মহৎ হয় ইহাও কিয়ৎপরিমাণে স্বাভাবিক, কিন্তু এইট কখন ব্যবস্থা হইতে পারে না। সংসারকে ঐ প্রকার অন্ধপরম্পরা পথ হইতে উদ্ধার করিবার জন্য স্বভাবজ বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম ব্যবস্থাপিত হইয়াছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে স্বার্থপর ও অতত্ত্বজ্ঞ স্মার্তদিগের হস্তে ধৰ্ম্মশাস্ত্র ন্যস্ত হওয়ায় যে বিপদ আশঙ্কায় বিধান করা হইয়াছিল, সেই বিপদ ব্যবস্থাপিত বিধিকে আক্রমণ করিয়াছে । ইহা অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয় হইয়াছে । সুবিধানের মধ্যে যে মল প্রবেশ করিয়াছে, সেই মল দূর করাই স্বদেশহিতৈষিতার লক্ষণ। কিয়দংশে মল প্রবেশ করিয়াছে বলিয়া মূল ব্যবস্থাকে দূর করা