পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা। "

  • বৃত্তি দ্বারা অবগত আছ। আমাকে জিজ্ঞাসা করায় আমি তোমাকে প্রদেশমাত্র কহিলাম। তুমি সহজ সমাধি অবলম্বনপূর্বক ভগবল্লীলা বর্ণন দ্বারা জীবনিচয়ের বৈকুণ্ঠগতি সাধিত কর। ইতিপূর্বে ধৰ্ম্ম ও কূটসমাধি ব্যবস্থা করিয়া ছিলে তাহা সৰ্ব্বত্র উপকারী নয়।

অতএব প্রত্যগ শ্রোতসাধক মহাশয়েরা ভগবদ্ভাবকে বিষয়ে বিমিশ্রিত করিয়া সমস্ত সংসারকে বৈষ্ণব সংসার করিয়া স্থাপন করেন। যথা অন্নপ্রিয় পুরুষের ভগবদপিত মহাপ্রসাদ দ্বারা রসনার প্রত্যগ শ্রোতসাধন ও শব্দপ্রিয় ব্যক্তিগণ ভগবন্নামলীলাদি শ্রবণ দ্বারা শ্রুতির প্রত্যগ গতি সাধন করেন। এইরূপ সৰ্ব্বেন্দ্রিয় বৃত্তি ও বিষয়কে ভগবস্তাব সম্বৰ্দ্ধক করিয়া ক্রমশঃ পরম রস দেখাইয়া রাগের অন্তঃশ্রোত বৃদ্ধি করিতে থাকেন। ইহার নাম সাধন ভক্তি। অহংভোক্তা এই পাষণ্ড-ভাব হইতে জীবগণকে ক্রমশঃ উদ্ধার করিবার অভিপ্রায়ে, সৰ্ব্ব বৈষ্ণব পূজনীয় ঐমহাদেব, তন্ত্র শাস্ত্রে, লতাসাধন প্রভূতি বামাচার, বীরাচার ও পশ্বাচারের ক্রমব্যবস্থা করত অবশেষে জীবের ভোগ্যতা ও পরমাত্মার ভোক্তত্ত্ব স্থাপন করিয়া বিষয় রস হইতে পরম রস প্রাপ্তির সোপান নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। তন্ত্র-শাস্ত্র ও বৈষ্ণব শাস্ত্রের কিছুত্রাম বিরোধ নাই। উহার রাগমাগের অধিকারভদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা । সাধনভক্তি নবধ, যথা ভাগবতে;— * . শ্রবণং কীৰ্ত্তনং বিষ্ণোন্মরণং পাদসেবনং | অর্চনং বন্দনং দাস্ত্যং সখ্যমাত্মনিবেদনং ॥