দশম স্কন্ধ । ৫৩ অ । ७२१ ত্ৰিলোককৰ্ত্ত অচ্যুত ভদ্বারা তুষ্ট হইয়া অনুগ্রহ কৰুন ; বিদৰ্ভতনয়ার পাণি গ্রহণ কৰুন । প্রেমকলায় আবদ্ধ হইয়া পুরবাসী সকল এইরূপ কহিতেছেন, ইতিমধ্যে কন্যা সৈনিকগণে বেষ্টিতা হইয়া অন্তঃপুর হইতে অম্বিকার মন্দিরে যাত্রা করিলেন । ৰুক্মিণী বৰ্ম্ম ছাদিতকলেবর, উদ্যুতাস্ত্র, বীর রাজসৈনিকগণে রক্ষিতা, এবং সর্থীগণে বেষ্টিতা, হইয়া মৌনাবলম্বন করত সম্পূর্ণরূপে মুকুন্দের পাদপদ্ম ধ্যান করিতে করিতে মাতৃগণের সহিত ( যেমন ) ভবানীর পদ পল্লব দর্শন করিবার নিমিত্ত পদসঞ্চারে নির্গত হইলেন, অমনি মৃদঙ্গ, শঙ্খ, তুরী ও ভেরী বাজিয়া উঠিল । সহস্ৰ সহস্র বারবনিতা বিবিধ উপহার ও পূজাসামগ্ৰী, এবং সুন্দরপে অলঙ্কস্তা রাহ্মণপত্নী সকল মাল্য, চন্দন, বস্ত্র ও আভরণ, লইয়া, বন্ধুকে বেষ্টন করত গমন করিতে লাগিলেন । গায়ক, বাদ্যবাদক, স্থত, মগধ এবং বন্দী সকল গান ও স্তব করিতে করিতে র্তাহার চতুর্দিকে দলবদ্ধ হইয়া যাইতে লাগিল । ( রাজনন্দিনী ) দেবগৃহে উপস্থিত হইয়া পাদ ও হস্তাম্বুজ প্রক্ষালন এবং আচমন, করত, পবিত্র ও শান্ত হইয়া অম্বিকার নিকটে প্রবেশ করিলেন । বিধিজ্ঞা বৃদ্ধ বিপ্ৰপত্নী সকল সেই বালাকে ভবসহিতা ভবানীর পূজা করাইলেন – হে অম্বিকে ! আমি মঙ্গলস্বরূপ তোমাকে এবং ভোমণয় ( গণেশাদি ) সন্তানদিগকে নমস্কার করি ; ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ আমার স্বামী হন, তুমি ইহা অনুমোদন কর । (কুমারী) একে একে জল, চন্দন, আতপ ভণ্ডল, ধূপ, বস্ত্র, মাল্য, ভূষণ ও দাপশ্রেণী ( প্রভৃতি ) বিবিধ পুজাসামগ্রী
